বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বাজারদরে এর পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই অর্থ দিয়ে দেশব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা খাতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি হয়। এতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইয়ুন জিয়ুন। এ সময় ইআরডি ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টেকনিক্যাল ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এই অর্থ খরচ হবে। ইআরডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ থেকে ২০২৯ মেয়াদে বাস্তবায়িতব্য এই কর্মসূচির মোট অনুমোদিত ব্যয় ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার, যার মধ্যে এডিবি দেবে ১৫ কোটি ডলার। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দেবে। এডিবির এই ঋণ ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এর বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এড ব র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন

চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।

এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।

গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।

ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন