রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া সাহাবাজ এলাকায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনের মিলাদ মাহফিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়ারা হলেন- পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের জোবেদ আলীর ছেলে শাহাবুদ্দিন (৪৫) এবং মিঠাপুকুর উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৩৮)। 

আরো পড়ুন:

বাবার মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন ছেলেও, পাশাপাশি দাফন

বগুড়ায় পৃথক ঘটনায় নিহত ২

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাহাবাজ আমতলা বাজারে নজর আলী নামের এক ব্যক্তি নতুন সারের দোকান চালু করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মিলাদ মাহফিল চলাকালে মাইক লাগানো বাঁশ দোকানের ওপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারকে স্পর্শ করে।

এসময় বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং মাইকের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়। দোকান ঘর বিদ্যুতায়িত হলে একসঙ্গে ১০ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডা.

মেহেদী হাসান জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় আমাদের এখানে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চারজন গুরুতর হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ক উন য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫