সাবিনা ইয়াসমিনের জীবন-কর্ম নিয়ে ৩ ঘণ্টার তথ্যচিত্র
Published: 27th, August 2025 GMT
বাংলাদেশের সংগীতভুবনে যে কণ্ঠস্বর প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করেছে, তিনি সাবিনা ইয়াসমিন। আধুনিক গান আর বিশেষ করে চলচ্চিত্রের গানে তার অনবদ্য পরিবেশনা যেন বাঙালির আবেগের সুর হয়ে বাজছে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে। সেই অসাধারণ শিল্পীর জীবন, সংগীতযাত্রা আর অজানা কাহিনি এবার ধরা পড়ল এক পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্রে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ নির্মাণ করেছেন প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র—‘জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’।
তথ্যচিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে তথ্যচিত্র সম্পর্কে তুলে ধরেন চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। এ সময় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বাগদান সারলেন গায়িকা টেইলর সুইফট
সড়ক যেন চষা ক্ষেত
তিনি বলেন, “তথ্যচিত্রের কিছু অংশ আজ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেখার সুযোগ হয়েছে। অসম্ভব ভালো লেগেছে এটি। সিরাজ [শাইখ সিরাজ] ভাই যে এত সুন্দর করে এটি তৈরি করবেন, তা কল্পনাও করিনি। তথ্যচিত্রটিতে বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই। আশা করছি, শ্রোতা-দর্শক নতুন এক সাবিনা ইয়াসমিনকে খুঁজে পাবেন।”
তথ্যচিত্রটি নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিকল্পনা ও সঞ্চালনা করেছেন শাইখ সিরাজ। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সাবিনা ইয়াসমিনের ৭২তম জন্মদিন। বিশেষ দিনকে সামনে রেখে চ্যানেল আইয়ে এটি প্রচার হবে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা ৪০ মিনিটে।
এতে উঠে এসেছে সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের বহু অজানা তথ্য, শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে তারুণ্যে যাত্রা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা। উঠে এসেছে গান ও পরিণত জীবনের গল্প। দিলশাদ থেকে কীভাবে হয়ে উঠলেন বাংলা গানের কোকিল সাবিনা ইয়াসমিন।
তথ্যচিত্রে সাবিনা ইয়াসমিনের গানে ঠোঁট মেলানো চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য অভিনেত্রী, নির্মাতা, সুরকার কণ্ঠশিল্পীসহ গানের পেছনের স্মৃতি, শুটিংয়ের নানান অভিজ্ঞতা ও শিল্পীসত্তার গল্প তুলে ধরেছেন শাইখ সিরাজ।
এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী সোমনুর মনির কোনাল, সানিয়া সুলতানা লিজা, ইমরান মাহমুদুল, জানিতা সুলতানা ঝিলিক, রাকিবা, ঐশী ও আতিয়া আনিসা পরিবেশন করেছেন সাবিনা ইয়াসমিনের সাড়ে ১৫ হাজার গানের ভাণ্ডার থেকে শিল্পীর বাছাই করা ১২টি গান। প্রতিটি গানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঘটনা ও আবেগঘন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন শিল্পী নিজেই। শুধু গানের গল্প নয়, নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সে সময়ের স্মৃতি, সাফল্য ও সংগ্রামের অভিজ্ঞতা।
শাইখ সিরাজ বলেন, “তথ্যচিত্রটি নির্মাণে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। সাবিনা ইয়াসমিন সংগীত ক্যারিয়ারে ১৫ হাজার গান গেয়েছেন। এ গানের মধ্যে ১২টি গান বাছাই করা কঠিন ব্যাপার ছিল। এ প্রজন্মের শিল্পীরা তার গাওয়া গান তারই সামনে গেয়েছেন। তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তার জীবনটা আমরা খুব কাছে থেকে দেখেছি। আশা করছি, তথ্যচিত্রটি সবার ভালো লাগবে। এতে সাবিনা ইয়াসমিনের অনেক অজানা কিছু জানা যাবে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রজন ম র র জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ