কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে পরিবার, কাঁধে ঋণের বোঝা আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও একের পর এক সন্তানের জন্ম দিয়ে চলেছেন ভারতের এক নারী।
রাজস্থানের উদয়পুরের ওই নারীর নাম রেখা নাম্মী। তার বয়স এখন ৫৫ বছর। এই বয়সে ১৭টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। রেখা নাম্মীর স্বামীর নাম কাভরা। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৭ সন্তানের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে জন্মের পরপরই। এখন আছে বারো জন। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে ২০ শতাংশ সুদে টাকা ধার নিয়েছেন। জীবিতদের মধ্যে পাঁচজনের বিয়ে হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কত আয় করল রজনীকান্তের ‘কুলি’?
বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা
সতেরোতম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে মিথ্যে তথ্য দেন রেখা। কারণ, তিনি ভাবছিলেন সব সন্তানের কথা বলে দিলে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিষয়টি ভালোভাবে নাও নিতে পারেন।
সেখানকার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রোশন দারাঙ্গি বলছেন, ‘‘রেখা যখন ভর্তি হয়েছিলেন, তার পরিবার জানিয়েছিলে রেখার চারটি সন্তান আছে। পরে আমরা জানতে পারি এই সন্তান রেখার সতেরোতম সন্তান।”
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় চমকে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ