অপারেশন থিয়েটারে অচেতন এক প্রসূতির মায়ের সঙ্গে টিকটক ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন এক নার্স। অপারেশনের রোগীর রক্তাক্ত অবস্থাও উঠে আসে সেই ভিডিওতে। যা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় বইছে। ওই নার্সের শাস্তির দাবিও তুলেছেন অনেকে। 

নড়াইলের লোহাগড়ায় পৌর শহরের জয়পুর মোড়ে প্রত্যাশা ক্লিনিকের নার্স প্রিয়া টিকটক ভিডিওটি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনায় আসে।

মিনারুল ইসলাম সজল নামে এক ব্যক্তি ওই ভিডিওটিতে মন্তব্য করেছেন, “প্রথমত, তাকে এই পেশা থেকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাকে অন্যের শরীর (ইজ্জত) মা-বোনের সম্মান নষ্ট হওয়ার জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে। তৃতীয়ত, তাকেসহ ওই নার্সিং হোমের মালিকেরও আইনগত বিচার করতে হবে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

আবুল হাসনাত বলেন, “অপারেশন থিয়েটারের কোনো কর্মকাণ্ড প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আর সেখানে মুমূর্ষু রোগীকে অপারেশন থিয়েটারের বিছানায় রেখে টিকটক করা সীমাহীন অপরাধ। এ বিষয়ে আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব।”

ঢাকা/শরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম

শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।

সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।” 

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”

শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যৌতুকের জন্য জখম: ভুক্তভোগী নারীর জন্য বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা তুলে দিতে হবে
  • শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
  • যুগপৎ কর্মসূচির বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জামায়াত নেতা তাহের
  • জামায়া‌তের তিন‌ দি‌নের কর্মসূচি ঘোষণা