ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। এ ব্যাপারে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের আইন ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা চিফ রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে চিফ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ জানানোর পর সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করেন কমিটির সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে জিন্নাহ ও ইকবালের নামে হল চান ডাকসুর ভিপি প্রার্থী

ভি‌পি নুরের ওপর হামলার নিন্দা ঢা‌বি সাদা দ‌লের

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন।

আবিদুল অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালিত ফোকাস বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ের যেসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তাদের সংবর্ধনার নামে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীসহ অন্য সদস্যরা খাবার ও উপঢৌকন দিয়ে ভোট চাইছেন।

ঢাবির ফেসবুক গ্রুপ নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ১ ও শিক্ষার্থী সংসদ ২ গ্রুপকে কেন্দ্র করে আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছি। আজ আবারো জানালাম যে এই গ্রুপগুলো নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষুণ্ণ করছে। অথচ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

আবিদুল দাবি করেন, ছাত্রশিবির প্যানেলের এক প্রার্থী ক্লাসরুমে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। 

তিনি বলেন, “এভাবে বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এছাড়া ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষিত টানা ছয় দিনের ছুটি (শুক্র ও শনিবারের সরকারি ছুটিসহ) অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দানে নিরুৎসাহিত করার শামিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সৌরভ/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর তফসিল সোমবার