চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘চবির সচেতন শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। সেখানে রাত ৮টা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

আরো পড়ুন:

চবিতে ১৪৪ ধারা আরো একদিন বাড়লো

ক্ষমা চাইলেন ধর্ষণের হুমকিদাতা সেই ঢাবি শিক্ষার্থী

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আহত ১৫০০, হয়ে গেলো ২০০’, ‘আমার ভাই আইসিইউতে, ভিসি গেছে নিয়োগ বোর্ডে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘যেই ভিসি তুচ্ছ, সেই বেশি আমার না’, ‘প্রশাসন হায় হায়, নিরাপত্তার খবর নাই’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, অপরাধীর বিচার চাই’, ‘এক দুই তিন চার, ভিসি তুই গদি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মাহমুদ রুমি বলেন, “গতকাল (রবিবার) সাংবাদিককদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপাচার্য স্যার নিজেকে ‘সামান্য উপাচার্য’, ‘তুচ্ছ উপাচার্য’ বলেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় বলে তুচ্ছ করেছেন। উনি ব্যক্তি ইয়াহ্ইয়া আখতার তুচ্ছ হলেও হতে পারেন। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তুচ্ছ না, দেশের সামান্য কেউ না। এ বিশ্ববিদ্যালয় অজপাড়া গাঁয়ের কোনো প্রতিষ্ঠান না।  এটা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “র‍্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ এলাকাবাসীর সামনে আমাদের আত্মমর্যাদা তিনি ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। উপাচার্যের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদ বলেন, “গতকাল (রবিবার) স্থানীয় এলাকাবাসীর হামলায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাদের হাসপাতালে দেখতে না গিয়ে উপাচার্য নিয়োগ বোর্ড বসিয়েছে। এদিকে আমাদের ভাইয়েরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা দিতে ব্যর্থ।  আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ করতে হবে।”

সমাবেশে তারা পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং এই ঘটনার বিচার করতে হবে; নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নারীবান্ধব বিশেষায়িত সেল গঠন করতে হবে। 

বাকি দাবিগুলো হলো- আহত প্রতিটা শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে, যথাযথ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তা করতে বাধ্য থাকবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ নম্বর গেট, রেল ক্রসিং, ২ নম্বর গেইটসহ সব জায়গায় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য পদত য গ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

এদের কোনো দিন শিক্ষা হবে না

আগের পর্বআরও পড়ুন‘বাংলাদেশের কি সুপারফোরে ওঠার চান্স আছে?’১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ