একটা লোককে ভিপি বানাতে ডাকসুর আয়োজন: মেঘমল্লার বসু
Published: 1st, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে আইনি কোনো বাধা নেই।
নির্বাচন নিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ‘একটা লোককে ভিপি বানাতে ডাকসু আয়োজন করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তিনি ডাকসু নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী।
আরো পড়ুন:
ডাকসু প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকিদাতার শাস্তি চান অধ্যাপক কামরুল
ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
মেঘমল্লার বসু লিখেছেন, “একটা লোককে ডাকসুর ভিপি বানানোর জন্যই ডাকসু আয়োজন করা হইতেসে। এক সেশনে দুইবার এমফিলে ভর্তি নেওয়া হইতেসে। সেই লোক আবার ক্যামেরায় আইসে বলতেসে ডাকসুর কাজ নেতা প্রোডিউস করা না।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে দাঁড়ায়ে যে যত বড় অরাজনৈতিকতার ধ্বজাধারী, তত বড় রাজনৈতিক এজেন্ডা তার, এটাই বাস্তব। কিছু লোক ইলেকশানে দাঁড়ই হইসেন প্রেশার গ্রুপের কাজ করতে। পার্টিকুলার কিছু অর্গানাইজেশনের অনুকূলে যেন সবকিছু থাকে, অন্য প্যানেলে দাঁড়ায়ে সেটা এনশিওর করতে।”
তিনি আরো বলেন, “সেপ্টেম্বরের ৫-৬ তারিখ হলো শুক্র আর শনিবার। ৭ তারিখ থেকে পরীক্ষা এবং ক্লাস বন্ধ। ৬ দিনের ছুটি দেওয়ার অর্থ হইল পোলাপানরে পক্ষান্তরে ট্যুর প্ল্যান করতে বলা। ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর এক তৃতীয়াংশও ভোট দিতে আসবে না এটা বুঝাই যাইতেসে। আমরা বলছিলাম পরীক্ষা বন্ধ দেন, যেন প্রার্থীরা প্রচারণা করতে ও ভোটাররা প্রচারণা শুনতে পারে।”
“ক্লাস চালু রাখেন, যেন পোলাপানের ক্যাম্পাসে থাকার ন্যূনতম ইন্সেন্টিভ থাকে। ৭ তারিখের পর এমনই প্রচারণা বন্ধ। ৭ তারিখ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ কইরে কার উপকার করলেন? কার দাবি মানলেন?,” -লেখেন বসু।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ