রাবিতে রাত ১১টার পর হলে ঢোকায় ৯১ ছাত্রীকে তলব, সমালোচনার পর প্রত্যাহার
Published: 2nd, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর ঢোকায় ৯১ ছাত্রীকে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে ডেকে পাঠিয়ে নোটিশ দেয় এবং ওই ছাত্রীদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টানায় হল প্রশাসন। এ নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
চবিতে সংঘর্ষে ৪২১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত
ডাকসুর প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
এর আগে, সোমবার হল প্রশাসনের দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জুলাই ৩৬ হলের অনাবাসিক ও গণরুমের ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেরিতে (রাত ১১টার পর) হলে ফেরার কারণে নিম্নে উল্লেখিত ছাত্রীদের ক্রমিক নম্বর ১-৪৫ পর্যন্ত মঙ্গলবার এবং ক্রমিক নম্বর ৪৬-৯১ পর্যন্ত বুধবার বিকেল ৪টায় প্রাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামাজিক ও অধিকারভিত্তিক সংগঠন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন লিখেছেন, “জুলাই ৩৬ হলে রাত ১১টার পর ফেরা শিক্ষার্থীদের নাম তালিকা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে হল প্রশাসন। বিষয়টা মানহানিকর বলে মনে করছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী।”
নুসরাত ইসলাম নামের আইডি থেকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ গ্রুপে লিখেছেন, “এদের মধ্যে কারও যদি কিছু হতো বা কারও সঙ্গে কোনো দুর্ঘটনা ঘটত, দায় আপনি নিতেন? এত উদার হওয়া ভালো নয়। মেয়েদের চলাচলে শালীনতা বজায় রাখাই উত্তম। কাজ শেষ হওয়ার পর নিরাপদ আবাসস্থলে সবাইকে ফেরা উচিত।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই-২৬ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোর কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা নিয়ে গতকাল থেকেই সমালোচনা হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “তারা সবাই আমাদের সন্তানের মতো। তাদের খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব। নিরাপত্তার স্বার্থেই ছাত্রীদের ডাকা হয়েছে, এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। তবে যারা একদিন দেরি করে এসেছে, তাদেরও তালিকায় রাখা হয়েছে, এটা ভুল হয়েছে। দেরি হতেই পারে, তবে সামনে রাকসু নির্বাচন ঘিরে যেন কোনো ধরনের বিপদ না হয়, সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই তাদের ডাকা হয়েছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ত ১১ট র পর হল প র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ