জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন টেলর ও উইলিয়ামস
Published: 2nd, September 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। তিন বছরেরও বেশি সময় পর তিনি জাতীয় দলের ছোট ফরম্যাটের স্কোয়াডে ডাক পেলেন। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ফিরেছেন অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। যিনি এক বছরেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন।
টেলরকে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইসিসি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল, কারণ তিনি জুয়াড়িদের প্রস্তাবের কথা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাননি। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় চলতি বছরের আগস্টে। এর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুলাওয়েতে টেস্ট খেলে আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরেন তিনি। এরপর গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খেলেছেন। তবে তার সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল ২০২১ সালের এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আরো পড়ুন:
‘ভারতের ক্রিকেটের জন্য রোহিতের আরও ১০ বছর খেলা উচিত’
নির্বাচন করার ঘোষণা আমিনুলের
অন্যদিকে শন উইলিয়ামসের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল ২০২৪ সালের মে মাসে। এ মাসের শেষ দিকে আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে তিনি আবারও টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। সেই বাছাইয়ে জিম্বাবুয়ের প্রতিপক্ষ হবে বতসোয়ানা, কেনিয়া, মালাউই, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডা। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি জায়গা করে নেবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
তবে এর আগে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে আফ্রিকা বাছাইপর্বে সেরা দুইয়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দলে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। আগের ত্রিদেশীয় সিরিজে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে) খেলা নিউম্যান নিয়ামহুরি, ওয়েসলি মাধেভেরে, ভিনসেন্ট মাসেকেসা ও তাফাদজওয়া সিগাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় ফিরেছেন ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, পেসার ব্র্যাড ইভান্স ও টপ অর্ডার ব্যাটার তাদিওয়ানাশে মারুমানি।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে মাত্র ছয়বার। সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যেখানে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দল:
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, ব্র্যাড ইভান্স, ট্রেভর গওয়ান্ডু, ক্লাইভ মাদান্দে, টিনোটেন্ডা মাপোসা, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, তাশিঙ্গা মুসেকিওয়া, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স, রিচার্ডি এনগ্রাভা, ব্রেন্ডন টেলর (উইকেটরক্ষক) ও শন উইলিয়ামস।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ