দীর্ঘ বিরতির পর আবারও জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। তিন বছরেরও বেশি সময় পর তিনি জাতীয় দলের ছোট ফরম্যাটের স্কোয়াডে ডাক পেলেন। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ফিরেছেন অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। যিনি এক বছরেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন।

টেলরকে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইসিসি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল, কারণ তিনি জুয়াড়িদের প্রস্তাবের কথা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাননি। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় চলতি বছরের আগস্টে। এর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুলাওয়েতে টেস্ট খেলে আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরেন তিনি। এরপর গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খেলেছেন। তবে তার সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল ২০২১ সালের এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে।

আরো পড়ুন:

‘ভারতের ক্রিকেটের জন্য রোহিতের আরও ১০ বছর খেলা উচিত’

নির্বাচন করার ঘোষণা আমিনুলের

অন্যদিকে শন উইলিয়ামসের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল ২০২৪ সালের মে মাসে। এ মাসের শেষ দিকে আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে তিনি আবারও টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। সেই বাছাইয়ে জিম্বাবুয়ের প্রতিপক্ষ হবে বতসোয়ানা, কেনিয়া, মালাউই, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডা। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি জায়গা করে নেবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

তবে এর আগে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে আফ্রিকা বাছাইপর্বে সেরা দুইয়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দলে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। আগের ত্রিদেশীয় সিরিজে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে) খেলা নিউম্যান নিয়ামহুরি, ওয়েসলি মাধেভেরে, ভিনসেন্ট মাসেকেসা ও তাফাদজওয়া সিগাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গায় ফিরেছেন ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, পেসার ব্র্যাড ইভান্স ও টপ অর্ডার ব্যাটার তাদিওয়ানাশে মারুমানি।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে মাত্র ছয়বার। সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যেখানে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দল:
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, ব্র্যাড ইভান্স, ট্রেভর গওয়ান্ডু, ক্লাইভ মাদান্দে, টিনোটেন্ডা মাপোসা, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, তাশিঙ্গা মুসেকিওয়া, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স, রিচার্ডি এনগ্রাভা, ব্রেন্ডন টেলর (উইকেটরক্ষক) ও শন উইলিয়ামস। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
  • হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে