চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাস হওয়া সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে শাখা ছাত্রশিবির।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। 

আরো পড়ুন:

চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের ৪ দাবি

ডাকসু নির্বাচন: বাগছাসের ইশতেহারে ৮ প্রস্তাবনায় ৫০ দাবি

এ সময় নেতাকর্মীদের ‘এই মুহূর্তে দরকার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “স্থানীয়দের হামলায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক । তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রশাসনকে করতে হবে। আমাদের আজ সমাবেত হওয়ার কারণ- গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। সিন্ডিকেটে সেই দাবি পাস হয়েছে। প্রশাসনকে অবশ্যই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “চবিতে গত ৫ বছরে স্থানীয়দের সঙ্গে ২০টিরও বেশি সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রশাসনই এর কার্যকর সমাধান করতে পারেনি। আমরা ভেবেছিলাম এই প্রশাসন তা পারবে, কিন্তু তারাও পারেনি। সংঘর্ষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আবাসন, নিরাপত্তা, আহতদের চিকিৎসা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১৩টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ