নেত্রকোনায় অফিস সহকারীকে মারধরের অভিযোগে ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার
Published: 4th, September 2025 GMT
নেত্রকোণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক অফিস সহকারীকে মারধরের অভিযোগে অমিতাভ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার অমিতাভ খালিয়াজুড়ি উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের অমর চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
আরো পড়ুন:
এফইজেবির সভাপতি মোস্তফা কামাল, সম্পাদক হাসান হাফিজ
পরিবারের দাবি ‘এটি হত্যা’
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা কথা জানান মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ।
ওসি জানান, গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যান অমিতাভ বিশ্বাস। সেখানে অফিস সহকারী মোহাম্মদ রাসেল হায়দারের কাছে নিজেকে ‘দৈনিক আমার সংবাদ’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন তিনি।
রাসেল হায়দার এতে রাজি না হওয়ায় তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন অমিতাভ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা এসে অমিতাভকে বের করে দেন।
ওসি আরো জানান, এরপর একই দিন দুপুরে অফিস সহকারী রাসেল খাবার খেয়ে অফিসের ফটক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে অফিস প্রাঙ্গণে থাকা একটি গাছের ডাল ভেঙে তাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে অমিতাভ। তার চিৎকারে অফিসের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত রাসেল হায়দার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত অমিতাভ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/ইবাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী