একটি গোষ্ঠী মুক্ত মত প্রকাশের বিপরীতে গিয়ে ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

তিনি বলেছেন, “তারা সাইবার অ্যাটাক করছে। ঢাবির বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

ডাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিদের ৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা

‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলা শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে: ওয়াহেদ

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগপত্র দায়ের শেষে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। অতিদ্রুত এগুলো বন্ধ করা প্রয়োজন। না হলে নির্বাচনের ভারসাম্য নষ্ট হবে।”

ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী তানভীর হাদি আল মায়েদ বলেন, “মাঠের রাজনীতিতে না পেরে অনেকে অনলাইন প্র্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমরা মনে করি, এ বিষয়টি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করতে পারে। এসব গ্রুপের মডারেটের ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও তারা শিক্ষকদের অসহযোগিতা করছেন।”

ডাকসু নির্বাচন কোনোভাবেই বিঘ্নিত হওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন মায়েদ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ