পূর্ব সুন্দরবনের নারিকেলবাড়ীয়া খালে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ ছয় জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা এ অভিযান চালায়।

বন বিভাগ জানায়, ফরেস্টার সুব্রত কুমার দাসের নেতৃত্বে টহল দল নিয়মিত অভিযানে গেলে জেলেদের ট্রলারটি চোখে পড়ে। বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এসময় ট্রলার থেকে প্রায় ৩০০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

আটক জেলেরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের বেল্লাল খান (৩০), নুরে আলমের ছেলে মো.

মিরাজ (২৯), লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় (২২), রিপনের ভাই আলামিন (৩০), চুন্নু মাঝির ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৪) এবং হানিফার ছেলে মো. মিয়া (১৯)।

আটক জেলেদের ট্রলার ও জব্দ মালামাল রাতেই শেলারচর টহল ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।

পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, “নারিকেলবাড়ীয়া খালে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/শহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী