মেট্রোরেলসহ নাগরিক সুবিধা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান ফারহানা মানিক মুনার
Published: 7th, September 2025 GMT
মেট্রোরেলসহ নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।
আজ সকালে এমআরটি-২ (মেট্রোরেল) প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে দেয়া বক্তব্যে তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি এই আহ্বান জানান। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে 'ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ' এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।
ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যাতায়াতকারী লক্ষ লক্ষ যাত্রী পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে উন্নত রেল যোগাযোগ, বিআরটিসি বাস বৃদ্ধিসহ মেট্রোরেল প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করা আবশ্যক। মেট্রোরেল নারায়ণগঞ্জের যানজট নিরসনেও বড় ভুমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যে এমআরটি প্রকল্পের প্ল্যান অনুমোদন করা হয় সেখানে এমআরটি-২ লাইনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ কখনো যুক্ত ছিল না। নারায়ণগঞ্জ যুক্ত ছিল এমআরটি-৪ এবং বিআরটি-৭ (মেট্রোরেল আওতাভুক্ত নয়) এর সঙ্গে। প্রকল্পের ফিজিবিলিটি টেস্টে ইতোমধ্যেই এমআরটি-৪ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গাবতলি থেকে কমলাপুর লাইনকে, অর্থাৎ এমআরটি-২ কে বর্ধিত করে নারায়ণগঞ্জের সাথে যুক্ত করে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত করার একটি প্রস্তাব করা হয়। তখন নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেলে যুক্ত করার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিআরটি-৭ এর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার যুক্তি দেখিয়ে এমআরটি-২ থেকে নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেয়া হয়েছে।
মুনা তার বক্তব্যে এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ডাবল লেন কিংবা বিআরটি-৭ এ নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার যুক্তি দেখিয়ে মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক থেকে কোনভাবেই নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেয়া যাবে না। অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেল-২ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তা না হলে নারায়ণগঞ্জবাসী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
রাজধানীকে কেন্দ্র করে লুটপাটকে প্রাধান্য দিয়ে পুরো নারায়ণগঞ্জকে একটি ডাম্পিং জোনে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুনা।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদের স্বার্থের কোনো প্রকল্পের বাস্তবায়ন এখানে হয়নি। এই জেলার মানুষ দেশের সর্বোচ্চ ট্যাক্স দিয়েও পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক সুবিধাগুলো পাচ্ছে না। আমরা রক্ত দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে গডফাদারমুক্ত করেছি নারায়ণগঞ্জকে নগরবাসীর উপযোগী, সুস্থ-নিরাপদ, টেকসই নগর গড়বার লক্ষ্যে।
এবার আমাদের নাগরিক সুবিধা বুঝে নিতে দল মত নির্বিশেষে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়েই বিজয় নিশ্চিত হবে। মনে রাখতে হবে, নাগরিকদের ঐক্য ছাড়া নারায়ণগঞ্জের কোন শক্তি নেই। নাগরিকদের ঐক্যই নারায়ণগঞ্জের শক্তি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র য ক ত কর র প রকল প র ব আরট
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলার মুখে হাজার হাজার পরিবার গাজা শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ার তিন সন্তানের জননী ৩২ বছর বয়সী লিনা আল-মাঘরেবি বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিপদ সত্ত্বেও তিনি তার বাড়ি ছেড়ে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে একজন ইসরায়েলি অফিসার ফোন দিয়ে তাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাদওয়ান বলেন, “স্থানচ্যুতির খরচ এবং একটি তাঁবুর খরচ মেটাতে আমাকে আমার গয়না বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। খান ইউনিসে পৌঁছাতে আমাদের ১০ ঘন্টা সময় লেগেছিল এবং আমরা যাত্রার জন্য তিন হাজার ৫০০ শেকেল (৭৩৫ পাউন্ড) দিয়েছিলাম। গাড়ি এবং ট্রাকের লাইন অনেক দীর্ঘ।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা শহরে একটি ‘শক্তিশালী অভিযান’ শুরু করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-রশিদ উপকূলীয় সড়ককে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একমাত্র অনুমোদিত পথ হিসেবে মনোনীত করেছে। অনেকেই তীব্র যানজট, গাড়ি ও ট্রাকের অবিরাম সারি এবং দীর্ঘ বিলম্বের বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে পরিবারগুলো রাস্তার ধারে আটকা পড়ে আছে এবং আকাশে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার রাতভর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা শহরজুড়ে ভারী বিমান হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় আল-দারাজ পাড়া, পশ্চিমে সৈকত শরণার্থী শিবির এবং উত্তরে শেখ রাদওয়ানে ঘনীভূত বোমাবর্ষণ করেছে। এই হামলাগুলোর সাথে কামান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টার গানশিপ তৎপরতাও ছিল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা তাদের আক্রমণের ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ গাজা শহরে ‘ধীরে ধীরে’ অগ্রসর হচ্ছে। বিমান এবং স্থল বাহিনী সামরিক অভিযানের এই পরবর্তী পর্যায়ে অংশ নেবে।
বাসিন্দারা রাতভর হামলাগুলোকে ‘নরক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা গাজি আল-আলৌল বিবিসিকে বলেন, “ঘন্টা ধরে বোমাবর্ষণ উন্মাদনাপূর্ণ এবং সেনাবাহিনী এলাকার বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।”
ঢাকা/শাহেদ