কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, বাঁধের গেট খুলল ৩ ফুট
Published: 10th, September 2025 GMT
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট তিন ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বাঁধের ১৬টি গেট তিন ফুট উচ্চতায় খোলা রাখা হয়।
এর আগে, হ্রদের পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমায় পৌঁছানোর কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে বাঁধের সব গেট সাড়ে তিন ফুট খুলে পানি নিষ্কাশন করা হয়। আজ সকাল ৯টায় পানি কিছুটা কমলে গেটের উচ্চতা ছয় ইঞ্চি কমিয়ে তিন ফুট উচ্চতায় খোলা রাখা হয়।
বর্তমানে এই উচ্চতায় প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি বিপৎসীমায় চলে আসায় পানি কমাতে গতকাল রাতে সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত গেট খোলা রাখা হয়। সকালে পানি কিছুটা কমে আসলে গেটের উচ্চতা ছয় ইঞ্চি কমিয়ে তিন ফুট উচ্চতায় খোলা রাখা হয়েছে। সকাল ৯টায় এই হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ১০৮.
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।