পাবনার ইছামতী নদী পাড়ের বৈধ মালিকদের জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে দাবি করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয়রা। ইছামতী নদী খনন ও নদীর প্রশস্ততা বাড়ানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে ইছামতী নদীপাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

আরো পড়ুন:

চাটমোহরে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

ফলাফল না দেওয়া পর্যন্ত রাবির আরবি বিভাগে শাটডাউন ঘোষণা

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। সেখানে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, যুগ্ন আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মিন্টু।

বক্তারা বলেন, ‘‘আমাদের পূর্ব পুরুষেরা নিয়ম মেনে জমির খাজনা দিয়ে আসছে। এ সব জমির চারটি রেকর্ড আছে। এই জমি অবৈধ কেমন করে হয়, জানি না। নদী বাঁচুক মানুষও বাচুঁক। কিন্তু নদীপাড়ের বৈধ বসতিদের অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তা কাম্য নয়।’’ 

বক্তারা নদীর পাড়ের জমি তাদের বৈধ জমি দাবি করে তা অধিগ্রহণ করলে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ দাবিতে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন। 

জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘যদি কারো জমি অধিগ্রহণের করা হয়, তবেই ক্ষতিপূরণের কথা আসবে। এখানে নদীর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’’

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ