পটুয়াখালীর কলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসীর তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলজিইডি। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় শিকদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের তিনটি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের লক্ষ্যে দোতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৮১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকায় ভবনটির নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভবনের ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ। তবে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই নিম্নমানের রড ও শিডিউল বহির্ভূত সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘‘প্রায় দুই বছর আগে ঠিকাদার এ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রথম থেকেই তারা ১০ মিলিমিটার রডের পরিবর্তে ৮ মিলিমিটার রড, সিলেকশন বালুর পরিবর্তে আস্তর বালু ও নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করে আসছেন। আমরা শুরু থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু, তারা কোনো কথা কর্ণপাত না করে ওই একই মালামাল দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী প্রশাসনকে জানায়। তারা এসে কাজ বন্ধ করে দেন।’’

কাইয়ুম মিয়া নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বারবার বলার পরেও তারা ওই নিম্নমানের ইট, বালু, খোয়া ও সিমেন্ট দিয়েই ঢালাই দিতে চেয়েছিল। আমরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’’

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী মো.

আহসান বলেন, ‘‘কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শুরু থেকে নানা ধরনের সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা করে আসছিল।’’

এলজিইডি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান সাদীক বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। অনিয়মের সত্যতা পেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভবন ন র ম ণ এল ক ব স

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ