লাভলু-সেলিম-মাসুম রেজা সঙ্গে তারার মেলা
Published: 14th, September 2025 GMT
বাংলা নাটকের পর্দার আড়ালের তিন দিকপাল— সালাহউদ্দিন লাভলু, গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও মাসুম রেজা। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে একসাথে যাত্রা শুরু করেছিলেন তারা। সময়ের পরিক্রমায় নাটক ও পরিচালনায় নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন প্রত্যেকে। এবার দীর্ঘদিন পর আবারও এক ফ্রেমে ধরা দিলেন এই তিন নাট্যস্রষ্টা, সঙ্গে একঝাঁক তারকা।
অভিনয়শিল্পী দম্পতি রহমত আলী ও ওয়াহিদা মল্লিক জলির নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হন তারা। শুধু তাই নয়, সেই আয়োজনে যোগ দেন টিভি নাটকের আরও অনেক জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী।
ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নাট্যকার মাসুম রেজা লেখেন, “ছবিটার গুণগত মান খুব ভালো না, কিন্তু আমার কাছে এর বিশেষ তাৎপর্য আছে। ছবিতে খুব কাছাকাছি আমরা তিনজন— আমি, সালাহউদ্দিন লাভলু আর গিয়াসউদ্দিন সেলিম। নব্বইয়ের মাঝামাঝি থেকে আমরা একসাথে কাজ শুরু করেছিলাম। লাভলু ডিরেক্টর, সেলিম রাইটার ও ডিরেক্টর, আর আমি শুধু রাইটার।”
তিনি আরও লিখেছেন, “ছবিতে যারা আছেন, তাদের অনেকের সঙ্গেই সেই সময় থেকে কাজ করেছি আমরা। তাদের অনেক জনপ্রিয় নাটকের নির্মাতা আমরা তিনজন। রহমত দা এবং জলি আপার নতুন বাড়িতে প্রবেশ উপলক্ষে এই আয়োজন হয়েছে। কিংবদন্তি অভিনেত্রী দিলারা জামান ও ডলি জহুরের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।”
ছবিতে ছিলেন— আরফান আহমেদ, ফারজানা চুমকি, নওশিন, মৌসুমী, সুইটি, রোবেনা, মীর সাব্বির, মোশাররফ করিম, রওনক হাসান, শোয়েব, মাসুদ মহিউদ্দিন, আদনান হিল্লোল, নাসিম, দীপা খন্দকার, সুষমা সরকার, ফারাজানা রোওশন, লিটন কর, মনির, পাশা, রিপনসহ আরও অনেকে। ছবিটি তুলেছেন তাহমিনা সুলতানা মৌ।
আয়োজনের জন্য রহমত আলী ও ওয়াহিদা মল্লিক জলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসুম রেজা লেখেন, “রহমত দা আর জলি আপার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। তোমাদের নতুন বাড়িতে তোমরা সুখে-শান্তিতে থাকো।”
সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শক-ভক্তরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এক ছবিতে এত তারকার উপস্থিতি অনেকের কাছে এক বিরল চমক হয়ে এসেছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ