জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতির পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মুখোমুখি, এটা হেডলাইন লেখা হয়েছে। এটা লেখা উচিত ছিল ফিলিস্তিন বাংলাদেশের মুখোমুখি। কারণ, আমরা চার বছর আগেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলাম।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না আমাদের সাংবাদিকেরা কেন বিষয়টিকে এভাবে আনেন, তা আমি ঠিক জানি না। হেডলাইন লেখা হয়েছে: বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের মুখোমুখি। এটা লেখা উচিত ছিল: ফিলিস্তিন বাংলাদেশের মুখোমুখি। কারণ, আমরা চার বছর আগেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সাইপ্রাসের সঙ্গে। অনেক পরে এসে ফিলিস্তিন প্রার্থিতা ঘোষণা করে এবং আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগও করেনি। যোগাযোগ করাটা স্বাভাবিক ছিল।’

এই মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। এই প্রচারে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশের ভেতরে ও বাইরে এই প্রচার কার্যক্রম চলবে। এই পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনকে মনোনীত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পালাক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন। এবার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পালা। এই অঞ্চলের তিন দেশ বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন ও সাইপ্রাসের প্রতিনিধিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ পাঁচ বছর আগে বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে প্রার্থিতা ঘোষণা করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। ঠিক ৪০ বছর পরে এবার আবারও বাংলাদেশ এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএলে দল নিতে চান আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ তালিকায় থাকারাও

আসন্ন দ্বাদশ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাতিল করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বাকি আটটি প্রতিষ্ঠানের সব যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে, তা–ও নয়। এক-দুটি প্রতিষ্ঠানে থাকা মালিকদের মধ্যে দু-একজন তো আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ধারী বলেও জানা গেছে।

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ