৯ দিনের সফরে পাকিস্তানে গেলেন স্বরাষ্ট্রসচিব
Published: 18th, September 2025 GMT
৯ দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে গেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি। গতকাল বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবন্দরে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব দাউদ মুহাম্মদ বারেচ এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো.
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে স্বরাষ্ট্রসচিব পাকিস্তান সফরে গেছেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সফরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—দুই দেশের মধ্যে মাদক ও সন্ত্রাস দমন, পুলিশ প্রশিক্ষণে দুই দেশের পুলিশ একাডেমির পারস্পরিক সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে উভয় দেশের সহাবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে।
এ ছাড়া এ সফরে দুই দেশের মধ্যে মাদকদ্রব্য পাচার ও অপব্যবহার প্রতিরোধ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ারও কথা রয়েছে।
সফরকালে স্বরাষ্ট্রসচিবের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এবং করাচিতে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানে বাস্তবায়িত সেফ সিটি প্রকল্প, পাকিস্তান পুলিশ একাডেমি এবং অভিবাসন ও পাসপোর্ট মহাপরিদপ্তর পরিদর্শন করবেন তিনি।
সফর শেষে স্বরাষ্ট্রসচিবের ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে চিঠি, বিকেলে না
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগ করে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি মূলধনি মুনাফা করেছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে সেটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে চিঠি পাঠিয়েছিল সিএসই। বিকেলে সিএসই সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য দিতে হবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে বার্তা পাঠায়।
জানা যায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সিএসইর পক্ষ থেকে ওই চিঠি ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়। বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে আজ সকালে চিঠিটি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠানোর পর তা নিয়ে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর বিকেলে তা সিএসই ফিরতি এক বার্তায় তথ্য দিতে হবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানিয়ে দেয়।
জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফা করেছে, এমন বিনিয়োগকারীর তথ্য চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। চিঠিতে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে তথ্য দেওয়ার কোনো সময়সীমা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনবিআর থেকে এ ধরনের তথ্য চাওয়া হলে বাজারে সেটির প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা না ভেবেই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের এসব তথ্য চেয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা না করে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে এ ধরনের চিঠি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এর কারণ, চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিনিয়োগকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য। তা ছাড়া এমন তথ্য পাঠানোর কোনো সময়সীমাও ছিল না। এ কারণে ডিএসইর পক্ষ থেকে এই চিঠি আর ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়নি। তবে সিএসই আজ সকালে এই চিঠি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আপাতত এ বিষয়ে আর অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
গত বছর শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হয়। সেই হিসাবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫০ লাখ টাকার বেশি মুলধনি মুনাফা করেছে, তাদের কর দেওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা কর দিচ্ছেন কি না, তা যাচাইয়ে গত ২৫ আগস্ট এনবিআর থেকে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর এই তথ্য চেয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেওয়া হয়।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউস জানিয়েছে, আজ সকালে সংস্থাটির সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসে এই চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে বিকেলে তথ্য পাঠাতে হবে না মর্মে নতুন বার্তা পাঠানো হয়েছে।