ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ
Published: 14th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা এবং ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে ভৈরবে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে বিক্ষোভ–সমাবেশ হয়। পরে একই স্থানে সভা হয়।
‘ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে। সভায় বক্তারা বলেন, পৃথক জেলা ভৈরববাসীর প্রাণের দাবি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করা হোক।
বক্তারা আরও বলেন, কোনোভাবেই ভৈরববাসী ময়মনসিংহ বিভাগের অধীনে যাবে না। ভৈরব ঢাকা বিভাগের ছিল, পৃথক জেলা হলে ঢাকা বিভাগেই রাখতে হবে। কারণ, ভৈরব থেকে ঢাকার দূরত্ব খুবই কম। ঢাকাকে ভৈরববাসী নিকট প্রতিবেশী মনে করে। দিনে একাধিকবার আসা–যাওয়া করা যায়। বিপরীতে ময়মনসিংহের সঙ্গে ভৈরবের এখন কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই।
সভায় আগামী বৃহস্পতিবার সকালে ভৈরব রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভৈরব নৌবন্দর এলাকায়ও একই কর্মসূচি পালিত হবে।
সভায় বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং আরাফাত ভূঁইয়া, আজহারুল ইসলাম, মো.
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ফলাফল না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। সড়কপথের পর রেলপথ ও নদীপথেও একইভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহের ১১টি সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল
ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি সংবাদপত্রের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ১১টি সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল করে সম্পাদক ও প্রকাশককে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো- মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ; এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর; এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র; মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা; নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা; আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা; শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান; ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ; ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ; বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি ও ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১০ ও ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি সংবাদপত্রের ২য় ও ৩য় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে এবং উল্লিখিত সংখ্যাসমূহ অনুমোদিত ছাপাখানা হতে মুদ্রিত হয়নি। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল ১৩ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২১ এপ্রিল ভুল স্বীকার করে ঘটনাটিকে সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা ও নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মর্মে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিল করেছেন। যা যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হয়নি।
গত ১৮ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিন তদন্তেও প্রমাণিত হয়েছে যে প্রকাশিত ১১টি সংবাদপত্র অনুমোদিত ছাপাখানা হতে মুদ্রিত হচ্ছে না। যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ঘোষণাপত্র ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারায় ১১টি সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল করা হলো।
ঢাকা/মিলন/রাজীব