বদলে যাচ্ছে ধনীদের পছন্দ, কী কাজে ব্যয় করছেন তাঁরা
Published: 16th, October 2025 GMT
শ্যাতো দ’ইকেম ২০১০—এই পানীয়ের এক বোতল যেন বিলাসিতার সংজ্ঞা। এতে আছে খুবানি, টোস্ট করা বাদাম, লেবুর খোসা, রসালো লেবু আর সাদা ট্রাফল—সব মিলিয়ে স্বাদ-গন্ধের নিখুঁত সমারোহ।
অনেক দিন ধরেই বিশ্বের এই সেরা মিষ্টি ওয়াইনটির দাম বেড়েছে। ২০২৩ সালে এসে এর দাম ছিল ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। তখন কেবল ওয়াইন নয়—বিলাসিতা মানেই ছিল বাড়তি মূল্য। পুরোনো গাড়ি, পুরোনো হুইস্কি, বিশাল অট্টালিকা—সবকিছুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের তৈরি ‘লাক্সারি ইনভেস্টমেন্ট ইনডেক্স’ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। ২০২৩ সালের শীর্ষ থেকে ওই সূচক এখন ৬ শতাংশ কমেছে। বোর্দোর বিখ্যাত ওয়াইন যেমন লাফিত রথচাইল্ড ও মারগোর দাম কমেছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত জেট ও বিলাসবহুল নৌকার দাম কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। ব্যবহৃত রোলেক্স ঘড়ির দাম ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। দামি শিল্পকর্মের বাজারেও মন্দা।
আবাসনপ্রতিষ্ঠান স্যাভিলসের হিসেবে, বিশ্বের বড় শহরগুলোর সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির দাম এখন আর তেমন বাড়ছে না, বরং লন্ডন ও প্যারিসে বিলাসবহুল আবাসনের দাম নিম্নমুখী। সানফ্রান্সিসকোর ‘বিলিয়নিয়ার্স রো’ (ধনীদের এলাকা)–এর এক অট্টালিকার দাম দুই বছর আগে বিক্রির জন্য উঠেছিল ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে; এখন সেই দাম ২৬ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
কিন্তু ধনীদের জিনিসপত্রে এমন মন্দা কেন—ধনীদের সম্পদ কি কমে গেছে। ফোর্বসের হিসাব বলছে, এখন বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতির সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি—এক বছর আগের তুলনায় আরও ২০০ জন বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ধনী শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষের হাতে এখন দেশটির মোট পারিবারিক সম্পদের ১৪ শতাংশ—কয়েক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সানফ্রান্সিসকোতে এখন ভবনের ক্রেতা নেই, কিন্তু সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের জোয়ারে প্রতিদিন নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে।
মুডিস অ্যানালিটিকসের গবেষক মার্ক জান্ডির তথ্য বলছে, ২০২২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের খরচ বরং বেড়েছে।
কী ঘটছে
তাহলে হচ্ছেটা কী, ধনীদের সম্পদ তো কমেনি, বরং পৃথিবীতে ধনী–গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। বিষয়টি হলো, বিলাসপণ্যের অর্থনীতি পাল্টে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন বোঝার জন্য মার্কিন অর্থনীতিবিদ থরস্টিন ভেবলেনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়। ২০ শতকের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, বিলাসিতা টিকে থাকে দুর্লভতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর ভর করে। কোনো জিনিস শুধু দামি বলেই বিলাসবহুল নয়—বরং তখনই বিলাসবহুল হয়, যখন একজনের উপভোগের কারণে অন্যদের কাছে তা অপ্রাপ্য হয়ে ওঠে। আজকের অর্থনীতিতে এই দুই বৈশিষ্ট্যই বদলে গেছে।
ধনীদের জন্য সমস্যা হলো, বিলাসিতা এখন সর্বত্র। বিশ্বের অনেক দেশেই উৎকৃষ্ট ওয়াইন তৈরি হচ্ছে—তাহলে সেরা বোর্দো কি প্রকৃতই ততটা আলাদা? ল্যাবে তৈরি হীরার সঙ্গে প্রকৃত হীরার অমিল নেই বললেই চলে। পুরোনো পণ্যের অনলাইন বাজারে এখন যে কেউ সামান্য অর্থে কিটন জ্যাকেট বা এমনকি ব্যক্তিগত জেটও ভাড়া নিতে পারে। শিল্পজগতের পুরোনো মাস্টারদের চিত্রকর্ম এখন ‘ভাগ’ করে শত শত বিনিয়োগকারীকে মালিক বানানো হচ্ছে। সবাই এখন ‘ভালো জীবনের’ অভিজ্ঞতা নিচ্ছে—আর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখাতেও পারছে। ফলে এসব জিনিস আর দুর্লভ বা একান্ত মনে হয় না। তাই এগুলো আর ‘বিলাসবহুল’ বলে মনে হয় না।
সেরার সেরা থেকেও সেরা
তাই ধনীরা এখন পণ্য নয়, অভিজ্ঞতায় খরচ করছেন—বড়, ব্যতিক্রমী ও সেবামূলক অভিজ্ঞতা প্রাপ্তির দিকে এখন তাঁদের ঝোঁক। এই পরিস্থিতিতে দ্য ইকোনমিস্ট ‘আল্ট্রা-লাক্সারি সার্ভিস ইনডেক্স’ তৈরি করেছে—যেখানে রয়েছে সুপার বোলের টিকিট থেকে শুরু করে বিশ্বের সেরা রেস্তোরাঁয় খাবারসহ নানা অভিজ্ঞতা। এই সূচক প্রণয়নে ইকোনমিস্ট এমন অভিজ্ঞতাগুলোই আমলে নিয়েছে, যেগুলো শুধু ভালো নয়, বরং বিশ্বের সেরার সেরা—এবং যার মূল্যসংক্রান্ত তথ্য বহু বছর ধরে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়। হিসাব অনুযায়ী, এই সূচক ২০১৯ সালের পর থেকে ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের পর পণ্যের দাম কমলেও এই সূচক আরও ওপরে উঠেছে।
এর ঊর্ধ্বগতি বিলাসপণ্যের মতোই—দুর্লভতা ও সীমিত সুযোগের প্রতিযোগিতার ফল। ধরা যাক, প্যারিসের বিখ্যাত হোটেল লে ব্রিস্টল। এর ছাদে থাকা পুল থেকে আইফেল টাওয়ার দেখা যায়। অতিথিরা পানীয়ের চেয়ে তার ছবি তুলতেই ব্যস্ত। এই হোটেলে ঘরসংখ্যা ২০০–এরও কম। ফলে সেখানে থাকা মানেই এক বিরল আনন্দ। সেখানে এখন এক রাত থাকার খরচ ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।
অন্যদিকে গৃহকর্মীদের বাজারেও তীব্র প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন তাদের বেতন ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ফ্লোরিডার অভিজাত এলাকা পাম বিচে গৃহকর্মীরা বছরে দেড় লাখ ডলারের বেশি আয় করেন।
বাস্তবতা হলো, ঘড়ি বা গয়না বিক্রি করা যায়, কিন্তু উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে কাটানো একদিনের অভিজ্ঞতা বিক্রি করা যায় না। ২০১৬ সালে যে সদস্যপদের টিকিট ৫০ হাজার পাউন্ডে পাওয়া যেত, এখন তার দাম এক লাখ পাউন্ড ছাড়িয়েছে। সুপার বোলের টিকিটও দ্বিগুণ। মেট গালার প্রবেশমূল্য ২০১৯ সালের দ্বিগুণের বেশি। সানফ্রান্সিসকোর তিন তারকা রেস্তোরাঁ বেনুর খাবারের দাম ২০১৫ সালের তুলনায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে এক বেলা খাবারের জন্য ৫০০ ডলারের বেশি খরচ করেছেন দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক।
কিন্তু এমন রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানে কেবল খাবার নয়। ওখানে খাওয়ার অর্থ হলো, আগামী কয়েক ঘণ্টায় পৃথিবীর আর কেউ আপনার জায়গায় বসতে পারবে না। নিউইয়র্ক ও প্যারিস ফ্যাশন উইক, এক্সক্লুসিভ ফান্ডরেইজার, এনবিএ প্লে-অফ—এসব জায়গায় এখন ‘সস্তায়’ যাওয়ার সুযোগ নেই, বরং সেটাই গর্ব—আপনি সেখানে ছিলেন, অন্যরা ছিল না।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনর্বিক্রিত টিকিটের দাম কত উঠবে, তার পূর্বাভাস করা কারও সাধ্য নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেটাই এখন বিলাসিতার প্রকৃত মোহ। যখন আপনি নিজে ইয়ামাল আর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে মুখোমুখি দেখতে পারেন, তখন এক বোতল শ্যাতো দ’ইকেম কতটা সন্তুষ্টি দেবে, তার চেয়ে তো বেশি নয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ২০১৯ স ল র ব ল সবহ ল ২০২৩ স ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘হেনী কলেজের টেঁয়া লই চুদুরবুদুর চইলত নঅ’ স্লোগানটি কেন আবার প্রাসঙ্গিক
ফেনী কলেজের ফটক দিয়ে ঢুকতেই লম্বা মাঠ। মাঠের একদিকে অনার্স ভবনের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি কলেজটির শিক্ষার্থীদের ফি বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-অসন্তোষের বিষয়টি জানতেই কলেজে আসা। আড্ডারত শিক্ষার্থীদের কাছে ফি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করলে একজন বললেন, ‘আমাদের কলেজের একটি স্লোগান নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। কিন্তু এখন এটাই আমাদের বাস্তবতা। দীর্ঘ দিনের লুটপাটের কারণে কলেজের ফান্ডের(তহবিল) অবস্থা খারাপ। তাই বাড়তি ফি চাপানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর।’
‘হেনী কলেজের টেঁয়া লই চুদুরবুদুর চইলতো নঅ’— জনপ্রিয় এই স্লোগানটি কথা শেষে যোগ করে কিছুক্ষণ হাসলেন মুহাইমিন তাজিম নামের ওই তরুণ। কলেজের গণিত বিভাগের এই শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কও। তাঁর কথার সঙ্গে একমত হলেন সেখানে বসে থাকা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের কথা, ফেনী কলেজের নানা অনিয়ম দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্লোগানটি আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফেনী কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁরা জানালেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানা খাতে দুর্নীতির কারণে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি ফি এর বোঝা চেপেছে। লুটপাটের কারণে কলেজের তহবিল সংকট পূরণ করতে বর্তমান অধ্যক্ষ শিক্ষার্থী প্রতি নতুন করে ১০০ টাকা ফি বাড়িয়েছেন।
কলেজটিতে চলতি বছর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার্থীর শাখায় ছাত্রদের ২ হাজার ৬৮০ টাকা, ছাত্রীদের ২ হাজার ৫৬০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের ২ হাজার ৭৮০ ও ছাত্রীদের ২ হাজার ৬৬০ টাকা হারে ফি দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। বিগত বছরের এই ফি ১০০ টাকা বেশি।
ফি বৃদ্ধির যে কারণ দেখাল কর্তৃপক্ষ
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফি বৃদ্ধি করা হয়। সভায় ‘অত্যাবশ্যকীয় নিরাপত্তা ফান্ড’ ৬৫০ টাকা স্থলে ৭৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, কলেজের কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতন ও বোনাস মিলিয়ে কর্মচারীদের পেছনে বছরে ব্যয় হয় ৭১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এই খাতে নতুন আরও আটজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ায় বছর শেষে খরচ দাঁড়াচ্ছে ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-বোনাস ছাড়াও এই খাত থেকে টাকা ব্যয় করা হয় ভূমিসংক্রান্ত মামলার উকিলের ফি, কলেজ আঙিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়। গড়ে বছরে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু এই খাতে শিক্ষার্থীদের থেকে বছরে আদায় হচ্ছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
ফেনী কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবু হেনা আবদুল আউয়ালের সঙ্গে কলেজের নানা অনিয়ম নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ফেনী কলেজ নিয়ে জনপ্রিয় হওয়া স্লোগানের একটা ইতিহাস আছে। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্থানান্তরিত হয়। সেখানকার স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কলেজের অর্থ নিয়ে বিবাদ তৈরি হলে ছাত্ররা এমন স্লোগান দেয়। আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ থেকেই এই স্লোগানের জন্ম। এই পরিস্থিতিতে স্লোগানটি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।উৎসব-অনুষ্ঠানের অতিরিক্ত ব্যয়
কলেজের বিবিধ খাতের টাকা থেকে উৎসব ও অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিধান থাকলেও নিরাপত্তা খাত থেকে টাকা নিয়ে উৎসবে খরচ করা হয়েছে। কলেজের নথিপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যয় করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার ৩০৪ টাকা। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে ব্যয় হয় ৪৮ হাজার ১৫৪ টাকা।
২০২৪ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ব্যয় হয় ৪৮ হাজার ১৫৪ টাকা। তার আগের দুই বছর ২০২৩ সালে হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০৬ টাকা। ২০২২ সালে হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৮১১ টাকা।
বিগত কয়েক বছরে সরকারি দিবস কিংবা উৎসবে অস্বাভাবিক এমন খরচের পেছনে দুর্নীতিই মূল কারণ বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন। কলেজের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কিংবা শহীদ দিবস দিবসগুলো সরকারি ছুটি হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তেমন থাকত না। রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ সব মিলিয়ে গড়ে উপস্থিতি থাকত দুই শতাধিক। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য খরচ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তাঁরা।
শতবর্ষ পুরোনো এই কলেজে বিভিন্ন বিভাগে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ফি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে