স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পুনর্নিয়োগ, পদ ১২৭
Published: 16th, October 2025 GMT
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নোয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৪ ও ১৬তম গ্রেডের ১২৭টি পদে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু নোয়াখালী জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন ব্যতীত সরাসরি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
পদের নাম ও বিবরণ১. পরিসংখ্যানবিদ
পদসংখ্যা: ৬
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান, গণিত, অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
২.
স্বাস্থ্য সহকারী
পদসংখ্যা: ১২১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনপ্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশ পেলেন ১১১ নন-ক্যাডার১৮ ঘণ্টা আগেবয়সসীমা২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনের নিয়মআগ্রহী প্রার্থীরা এ ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফিআবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটক চার্জ বাবদ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা।
আবেদনের সময়সীমাআবেদন ফরম পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১০টা
আবেদন জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ১ নভেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
আরও পড়ুনএই ‘ভুলে ভরা’ বিসিএস প্রশ্নপত্র কারা তৈরি করল১৪ অক্টোবর ২০২৫নির্দেশনা১. একজন প্রার্থী কেবল একটি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২. সিভিল সার্জনের কার্যালয়, নোয়াখালীর স্মারক নং-সিএসএন/শা-৩/নিয়োগ-২০২৪/২৫৫০ তারিখ: ৩১/০৩/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তাঁদের আবেদন সঠিক থাকলে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং তাঁদের বয়স আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে।
৩. স্বাস্থ্য সহকারী পদের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ইউনিয়নের যে ওয়ার্ডের (পুরাতন) জন্য আবেদন করবেন, সে ওয়ার্ডের (পুরাতন) স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
৪. নোয়াখালী জেলার আওতাধীন কোনো পৌরসভার আবেদনকারী স্বাস্থ্য সহকারী পদে আবেদন করতে পারবেন না। তবে পরিসংখ্যানবিদ পদে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না।
বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পঞ্চগড়ে চাকরি, পদ ৩০২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিনিয়োগ ছাড়া কি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়া সম্ভব
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন নেই; বরং প্রয়োজন আলোচনাকে বাস্তব সমাধানের দিকে নেওয়া।
কিছুদিন আগে একটা গোলটেবিল প্রোগ্রামের কি–নোট উপস্থাপন করি এবং আলোচনায় উপস্থিত সবাই মোটামুটি একমত যে, বাংলাদেশ যদি ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যেতে চায়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ ও চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের বিলম্ব করার সুযোগ নেই; যদিও কিছু ব্যাপারে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে।
এখন এ কথা শুনতে যতটা সহজ, বাস্তবে ততটা নয়। কারণ, বন্দর শুধু একটা অবকাঠামো নয়, বরং এটা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য, লজিস্টিকস, মুদ্রানীতি, রাজনৈতিক অর্থনীতি ও প্রশাসনিক সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দু।
চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের অর্থনীতির প্রধান প্রবেশদ্বার। দেশের ৯২ শতাংশ সমুদ্র–বাণিজ্য ও ৯৮ শতাংশ কনটেইনার কার্গো এখান দিয়ে ওঠানো নামানো হয়।
২০২৫ অর্থবছরে রেকর্ড ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউ হ্যান্ডল করা হয়েছে। কিন্তু এই বৃদ্ধির মধ্যেও বন্দরের কার্যকারিতা এক জায়গায় আটকে আছে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর: আমাদের সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসটি...২৫ অক্টোবর ২০২৫সিঙ্গাপুর বন্দর বছরে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন টিইইউ হ্যান্ডল করে, কলম্বো ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইইউ। তার তুলনায় চট্টগ্রামের ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউ এখনো আঞ্চলিক মানের অনেক নিচে।
বিশ্বব্যাংকের কনটেইনার পোর্ট পারফরম্যান্স অনুযায়ী চট্টগ্রামের অবস্থান ৩৩৭তম/৪০৫। টার্মিনালের ক্রেন উৎপাদনশীলতা মাত্র ১৮-২১ মুভ/ঘণ্টায়, যেখানে আন্তর্জাতিক মান ৩৫-৪৫।
বিশ্বব্যাংক তার অক্টোবরের প্রতিবেদনেও এ কথা তুলে ধরেছে। এনসিটিতে ব্যবহৃত বেশির ভাগ গ্যান্ট্রি ক্রেন ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো।
প্রায়ই ব্রেকডাউন হয়, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ অচল থাকে। একটি আধুনিক টার্মিনালে যেখানে ৯৫ শতাংশের বেশি আপটাইম থাকে, সেখানে এনসিটির আপটাইম ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ।
এর মানে হলো, বিদ্যমান অবকাঠামোই আমাদের অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।
২০২৫ সালের আগস্টে এনসিটি একাই রেকর্ড ১ লাখ ২২ হাজার ৫১৭ টিইইউ হ্যান্ডল করেছে (+ ২৮% আগের একই সময়ে বছরের তুলনায়)।
জুলাই-সেপ্টেম্বরে এনসিটির ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। কিন্তু সিডিডিএলের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও অপেক্ষার সময় এখনো ৭ দিনের ওপর।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর: মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অসম চুক্তিটির কথা মনে পড়ে২৪ জুন ২০২৫ফলাফল একটাই—জাহাজকে বহির্নোঙরে ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হয়, প্রতিদিন অতিরিক্ত খরচ ১২ থেকে ২০ হাজার ডলার।
প্রতিবছর এ বিলম্বে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ১ দশমিক ৫ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ বহন করেন।
এ খরচ শেষ পর্যন্ত পণ্যের দামে, রপ্তানির সময়সীমায় এবং দেশের লজিস্টিক খরচে উঠে আসে। সোজা কথায়, বন্দর জ্যাম মানেই জাতীয় অর্থনীতির জ্যাম।
যাঁরা বন্দর পরিচালনা, মেশিনারি রক্ষণাবেক্ষণ, অটোমেশন কিংবা ডিজিটাল টিওএস বোঝেন, তাঁরা জানেন, একটা টার্মিনালের দক্ষতা বাড়ানো মানে শুধু নতুন ক্রেন বসানো নয়।
এটা হলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রশিক্ষিত জনবল, ডিজিটালাইজেশন, গ্লোবাল শিপিং নেটওয়ার্কে প্রবেশ এবং দৃঢ় ম্যানেজমেন্ট শৃঙ্খলা।
সে জন্যই সরকার এনসিটি ও এলসিটিতে জিটুজি ও পিপিপি মডেলে বিদেশি অপারেটর আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর: ঘরের চাবি কি পরের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে১২ জুন ২০২৩লালদিয়া টার্মিনালে এপিএম টার্মিনাল (মারসেক গ্রুপ) এবং নিউমুরিং টার্মিনালে ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে।
লালদিয়া টার্মিনালের চুক্তি নিয়ে প্রথম আলোয় একটা বিশ্লেষণ আসার পর দেখা যায়, দেশের এখানে একটাই রিস্ক, সেটা হচ্ছে যদি হরতাল–অবরোধে পোর্ট বন্ধ থাকে, তাহলে দেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
রাজনীতিবিদেরা কি এ ব্যাপারে গ্যারান্টি দেবেন? আশার কথা, দেশের এত হরতাল–অবরোধে সাধারণত পোর্ট বন্ধ থাকে না।
দুই প্রকল্পে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে, যেখানে সরকারের নিজেদের বাজেট থেকে কোনো খরচ লাগবে না। আমাদের আর্থিক চাপও আসবে না।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বলছে, তারা সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে, জাহাজের অপেক্ষার সময় ৪০ শতাংশ কমাতে পারে, ডুয়েল টাইম কমিয়ে আনে এবং পুরো টার্মিনালকে তথ্যভিত্তিক করে তোলে।
এ ব্যাপারে ২০২৫ সালের ২৩ জুন প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত আমার লেখা ‘যে কারণে চট্টগ্রামে বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ দরকার’ শীর্ষক কলামে বিস্তারিত বলা আছে।
কর্ণফুলীর ডান তীরে পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরের চিত্র। এখানে কনটেইনার টার্মিনাল তৈরির জন্য ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে চুক্তি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সীমানাপ্রাচীরে ঢাকা এই চর ঘাসে ভরা। গতকাল বিকেলে পতেঙ্গার লালদিয়ার চরের বিজয়নগর এলাকায়