চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে রেললাইনে বিক্ষোভ
Published: 16th, November 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ করেছে নেতা–কর্মীদের একাংশ। নাচোল রেলস্টেশনের সামনে আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ আসনটি গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী (পাপিয়া), জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম (তুহিন), জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদা আফরোজ হক, প্রকৌশলী এমদাদুল হক ও রতনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমেদ। কিন্তু বিএনপি প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামকে। এতে অন্যরা নাখোশ। তাঁরা আমিনুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাচোল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের নেতৃত্বে সকালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম–বিরোধী নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং আমিনুল ইসলামের প্রার্থিতা বদলের দাবি জানান। এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুরগামী কমিউটার ট্রেনটি কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে এবং পরে ছেড়ে যায় স্টেশন থেকে।
আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদকে বৈধতা দেওয়া, আন্দোলনের কোনো কর্মসূচিতে না থাকা, ২০২১ সালে পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখাসহ এলাকায় না থাকার অভিযোগ রয়েছে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ কারণে তাঁর প্রার্থিতা বদলের দাবিতে রেললাইনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অন্যদিকে কর্মসূচি শেষ করে বিক্ষোভকারীরা চলে যাওয়ার পর আমিনুল ইসলামের সমর্থকেরা স্টেশন এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে প্রতিপক্ষের বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এসব কর্মসূচিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। তাঁদের (বিরোধীদের) সম্পর্কে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাই না।’
রেললাইনে বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইনে থাকা সবাইকে সরিয়ে দেয়। ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম ন ল ইসল ম র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কখনো চোর, কখনো পকেটমার! তিন বছর নিজের গ্রামে যাননি নওয়াজ
অনলাইন/// কখনো চোর, কখনো পকেটমার! তিন বছর নিজের গ্রামে যাননি নওয়াজ
কখনো চোর, কখনো পকেটমার! তিন বছর নিজের গ্রামে যাননি নওয়াজ
বিনোদন ডেস্ক
ভারতীয় সিনেমার এই সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেতা হিসেবে পরিচিত নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। ক্যারিয়ারের শুরুতে যিনি ‘সারফারোশ’ ও ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এর মতো সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড চরিত্রে অভিনয় করতেন, তিনিই এখন সময়ের প্রভাবশালী অভিনেতা। তবে এ অবস্থানে আসতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে নওয়াজকে। সম্প্রতি এই অভিনেতা এসেছিলেন রাজ শামানির পডকাস্টে। সেখানেই কথা বলেছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা নিয়ে।
বলিউডে প্রাথমিক সংগ্রাম
রাজ শামানির সঙ্গে সম্প্রতি কথোপকথনে নওয়াজউদ্দিন তাঁর প্রাথমিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘শুরুর সময় এমন চরিত্রে অভিনয় করতাম, যেখানে আমি মার খাচ্ছিলাম। আমার প্রথম সিনেমা “সারফারোশ”-এ আমি মার খাচ্ছিলাম। তারপর “মুন্না ভাই এমবিবিএস”-এও একই। কখনো আমি চোর, কখনো পকেটমার। আমার গ্রামের মানুষেরা যখন এই সিনেমাগুলো দেখত, তারা বাবার কাছে বলত, “আপনার ছেলে সব সময় সিনেমায় মার খাচ্ছে।” প্রতিবছর একই কথা, আর আমার বাবা খুবই চিন্তিত ছিলেন।’
বাবার প্রতিক্রিয়া ও গ্রামের নিষেধাজ্ঞা
ক্যারিয়ারের এক কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে নওয়াজউদ্দিন বলেন, ‘একদিন বাবা আমাকে ডেকে বললেন, “তুমি এসব সিনেমায় কী করছ?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কী বোঝাচ্ছেন। তিনি বললেন, “সবাই বলছে, তোমার ছেলে এই সিনেমায় মার খাচ্ছে। কেন এসব চরিত্র নাও?” আমি বললাম, আমার আর কোনো সুযোগ নেই, আমি চেষ্টা করছি। তখন তিনি বললেন, “তাহলে মার খেয়ে এখানে এসো না।” শুনে আমি খুব কষ্ট পেলাম, তিন বছর আমার গ্রামে যাইনি।’
‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’ দিয়ে আলোচনায়
নওয়াজউদ্দিন ক্যারিয়ারের বাঁকবদলের মুহূর্ত হিসেবে অনুরাগ কাশ্যপের ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-এর কথা স্মরণ করলেন, যা তাঁকে পরিচিত মুখ বানিয়েছিল। তিনি এখানে এক গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সিনেমা মুক্তির পর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রামে ফিরে যান। ‘আমি বাবার কাছে গিয়ে বললাম, আপনি কী মনে করেন? তিনি বললেন,“হ্যাঁ, এবার তুমি ভালো কাজ করেছ।”’
নওয়াজউদ্দিনের সাফল্যে মায়ের গর্ব
একই সাক্ষাৎকারে মায়ের কথাও বলেন নওয়াজউদ্দিন। সালমান খানের ‘কিক’-এ তাঁকে দেখার পর মায়ের প্রতিক্রিয়া স্মরণ করে বলেন, ‘ছবির একটি দৃশ্যে আমি টাকার ওপর বসে ছিলাম। মায়ের দেখার পর আমি জানতে চেয়েছিলাম, কেমন লাগল? তিনি বললেন, “ভালো সিনেমা, তোমার চরিত্রও ভালো লেগেছে।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সবচেয়ে ভালো কোনটা লাগল। তিনি বললেন, “যখন তুমি হাজার হাজার নোটের ওপর বসে ছিলে, সেই দৃশ্য সত্যিই ভালো লেগেছে।”’
সাম্প্রতিক কাজ
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে ২০২৫ সালে সর্বশেষ ‘থামা’ সিনেমায় দেখা গেছে, যেখানে তিনি ‘যক্ষসান’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আদিত্য সারপোতদারের পরিচালিত সিনেমায় আরও দেখা গেছে আয়ুষ্মান খুরানা, রাশমিকা ও পারেশ রাওয়ালকে।
হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে
বাবার প্রতিক্রিয়া ও গ্রামের নিষেধাজ্ঞা
ক্যারিয়ারের এক কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে নওয়াজউদ্দিন বলেন, ‘একদিন বাবা আমাকে ডেকে বললেন, “তুমি এসব সিনেমায় কী করছ?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কী বোঝাচ্ছেন। তিনি বললেন, “সবাই বলছে, তোমার ছেলে এই সিনেমায় মার খাচ্ছে। কেন এসব চরিত্র নাও?” আমি বললাম, আমার আর কোনো সুযোগ নেই, আমি চেষ্টা করছি। তখন তিনি বললেন, “তাহলে মার খেয়ে এখানে এসো না।” শুনে আমি খুব কষ্ট পেলাম, তিন বছর আমার গ্রামে যাইনি।’