আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঠিকাদারির কমিশন–বাণিজ্য, দলীয় পদ মনোনয়ন–বাণিজ্য, বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এসব তথ্য জানিয়েছে। দুদক বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ থেকে কমিশন নেওয়া, টিআর–কাবিখাসহ সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৬১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছে ২৫৫ কোটি ২৫ লাখ ১১ হাজার ৭৩১ টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ২৫৫ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ২০৪ টাকা—যা দুদকের মতে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দুদক আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দুদক আরও বলছে, স্বামীর প্রভাব ও সহায়তায় পারভীন চৌধুরী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে থাকা ৩৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা পাওয়া গেছে ১১১ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৪১১ টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ১১১ কোটি ৪৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭১২ টাকা। এ ঘটনায় পারভীন চৌধুরী ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া—দুজনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অন ম

এছাড়াও পড়ুন:

এক্সে চ্যাট–সুবিধা চালু

খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করার পাশাপাশি চাইলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি বার্তা পাঠানো যায়। আগে এই সেবা ডিরেক্ট মেসেজ (ডিএম) নামে পরিচিত ছিল। এক্স বার্তায় এনক্রিপশন বা বিশেষ কোড যুক্ত করে অন্যদের কাছে পাঠানো যাওয়ায় নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কিছু জানতে পারেন না। এবার এক্সে ডিরেক্ট মেসেজ ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নতুন চ্যাট–সুবিধা চালু করা হচ্ছে।

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্স অ্যাপে অনেক বছর ধরে ডান দিকের নিচে থাকা ডিএম ট্যাবের জায়গায় এখন নতুন ফিচার চ্যাট চালু হয়েছে। আগের সব ব্যক্তিগত বার্তা ও গ্রুপ চ্যাট ঠিক থাকলেও ব্যবহার অভিজ্ঞতায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন চ্যাটেও বার্তা এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকবে। ব্যবহারকারী বার্তা পাঠানোর পর তা সম্পাদনা, মুছে ফেলা বা নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলতে পারবেন। সিগন্যাল অ্যাপের মতোই বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে এক্সে। এক্স জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যাপের ইন্টারফেসে দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন।

যদিও এসব পরিবর্তন নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্ল্যাটফর্মের দীর্ঘদিনের অনেক ব্যবহারকারী। অনেকেই অভিযোগ করেছেন ওয়েব সংস্করণে আগের চ্যাট খুঁজে পাওয়া এখন আগের তুলনায় কঠিন হয়ে গেছে। গ্রুপ চ্যাটের নাম পরিবর্তন করাও এখন জটিল। অনেক সময় তা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন মোবাইল চ্যাট অভিজ্ঞতাও অনেকের কাছে ধীরগতির বলে মনে হচ্ছে।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ