বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি যে প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন তা প্রথম বোঝা গিয়েছিল ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমায়। পর্দায় রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ঘনিষ্ঠ অভিনয় নিয়ে যেমন দর্শকের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে তেমনি বক্স অফিসে ছবিটি সাফল্যের তকমাও পেয়েছে। ফলে আগে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার পর রাতারাতি তারকা বনে যান এই অভিনেত্রী।

‘অ্যানিমেল’র পর এই জুটি দর্শক চাহিদার প্রথমদিকে ছিল। সেই পর্ব মিটতে না মিটতেই তৃপ্তি দ্বিতীয়বার পর্দায় এলেন কার্তিককে নিয়ে। ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতেও তিনি সফল। কিন্তু কার্তিকের সঙ্গে পর্দার প্রেম রণবীরের মতো জমে ওঠেনি।

এরপর শোনা যাচ্ছিল, ‘আশিকি ৩’ ছবিতে ফের কার্তিকের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তৃপ্তি। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। এ বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক অনুরাগ বসু।

‘আশিকি ৩’ নিয়ে প্রথম থেকেই মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। কথাবার্তাও সেই অনুযায়ী এগিয়েছিল দুই তারকার সঙ্গে। কিন্তু আচমকাই বাদ পড়েন তৃপ্তি।

কারণ নিয়ে সিনেমার সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ছবির জন্য নায়িকার মধ্যে যে সারল্যের প্রয়োজন তা তৃপ্তির মধ্যে নেই। তিনি নাকি অনেক সাহসী। সেই কারণেই পরিচালক নাকি তাকে বাদ দিয়েছেন। যদিও তৃপ্তি এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা করেননি।

নির্মাতা অনুরাগ বসু ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই তত্ত্বের একেবারেই কোনও ভিত্তি নেই। তাকে নিয়ে যে কথা হচ্ছে তৃপ্তি নিজেও সেটা খুব ভাল করে জানেন।’

এই জল্পনাও শোনা গিয়েছে যে, ছবিতে কার্তিকের বিপরীতে নাকি পরিচালকের মনে ধরেছেন অভিনেত্রী সারা আলি খানকে। যদিও সাইফকন্যার সঙ্গে একটা অতীত রয়েছে কার্তিকের। তবে কি ছবির স্বার্থে তাদের পুরানো প্রেম ফের পর্দায় ঝালিয়ে নিতে চাইছেন অনুরাগ!

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ