বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের হাতে এখন বেশ কয়েকটি সিনেমা। সিনেমার কাজের সুবাদে কখনও নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বনশালি আবার কখনও সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সঙ্গে বসছেন তিনি। এছাড়া ‘রামায়ণ’র মতো বড় কাজ তো আছেই। এর মধ্যে ‘ধুম ৪’র প্রস্তুতি শুরু। বলিপাড়ায় গুঞ্জন, ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ সিনেমার জন্য ভিলেন খোঁজা হচ্ছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
আপাতত চলছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমার শুটিং। যে সিনেমায় আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশলও আছেন। তারপরও একাধিক ছবি রয়েছে রণবীরের হাতে। নীতীশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ নিয়ে চর্চা তো দীর্ঘদিন ধরেই। সেটাও রয়েছে ব্রহ্মাস্ত্র অভিনেতার ব্যস্ততার ঝুলিতে। এত কিছুর মধ্যে অপেক্ষা থাকবে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘অ্যানিমাল’-র সিক্যুয়েল ‘অ্যানিমাল পার্ক’র জন্য।
সব মিলিয়ে ‘ধুম ৪’র শুটিং শুরু হতে হতে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস লেগে যাবে। সবে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, ‘ধুম ৪’ সিনেমায় রণবীরের লুক কেমন হবে তা নিয়ে এখনও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। হাতের দুটো ছবি শেষ করে তবে এতে হাত দেবেন।এই সিনেমায় দুজন অভিনেত্রী থাকার কথা। সেখানে কাদের বাছা হবে, তাও চূড়ান্ত হয়নি। চমক থাকতে পারে ভিলেনে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় কোনও মুখের উপরই সেই দায়িত্ব পড়বে।
২০১৩ সালে ধুম ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা রিলিজ করেছিল। সেখানে ছিলেন আমির খান, অভিষেক বচ্চনরা। তারপর প্রায় একযুগ কেটে গিয়েছে। রণবীরের ব্যস্ততার জন্য নাহয় আরও কিছুটা দেরি হলই!
২০২৬-এর মার্চে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ মুক্তি পাওয়ার কথা। আর দীপাবলিতে রাম চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। যেখানে সীতার চরিত্রে সাই পল্লবী ও রাবণের ভূমিকায় থাকবেন যশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।