ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে ভটভটি উল্টে নিহত ২, আহত ৪
Published: 16th, January 2025 GMT
বাগেরহাটের মোংলায় ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে ভটভটি উল্টে দুজন হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে মোংলা-পেড়িখালি আঞ্চলিক সড়কের চাপড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ও আহতদের পরিবার জানায়, খুলনার লাউডোব থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে মোংলা-পেড়িখালি আঞ্চলিক সড়কের চাপড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় থাকা পাথরের স্তূপে উঠে ভটভটি উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চালক দিদার মোল্লা (২৫)। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রোকন উদ্দিন খোকন (৬০)।
আহত ওয়াহেদ মল্লিককে (৪০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন আইয়ুব সরদার (৪০) মিলন মল্লিক (৩৫) ও তাজমির শেখ (৩০)।
নিহত ভটভটিচালক দিদারের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তায়। নিহত রোকন উদ্দিন খোকনের বাড়ি মোংলার সোনাইলতলায়। এছাড়া আহতদের সকলের বাড়িও সোনাইলতলা এলাকায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আইয়ুব সরদার ও মিলন মল্লিক বলেন, তারা পেশায় ধান কাটা শ্রমিক। তারা খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। ধান কাটার পারিশ্রমিক বাবদ তারা ৭১ বস্তা (৭০/৮০মণ) ধান পান। সেই ধান মোংলার মাছমারার সেলিমের মিলে নামিয়ে রেখে ভটভটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন এল ক য় হয় ছ ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।