বাগেরহাটের মোংলায় ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে ভটভটি উল্টে দুজন হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে মোংলা-পেড়িখালি আঞ্চলিক সড়কের চাপড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ও আহতদের পরিবার জানায়, খুলনার লাউডোব থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে মোংলা-পেড়িখালি আঞ্চলিক সড়কের চাপড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় থাকা পাথরের স্তূপে উঠে ভটভটি উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চালক দিদার মোল্লা (২৫)। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রোকন উদ্দিন খোকন (৬০)। 

আহত ওয়াহেদ মল্লিককে (৪০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন আইয়ুব সরদার (৪০) মিলন মল্লিক (৩৫) ও তাজমির শেখ (৩০)। 

নিহত ভটভটিচালক দিদারের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তায়। নিহত রোকন উদ্দিন খোকনের বাড়ি মোংলার সোনাইলতলায়। এছাড়া আহতদের সকলের বাড়িও সোনাইলতলা এলাকায়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আইয়ুব সরদার ও মিলন মল্লিক বলেন, তারা পেশায় ধান কাটা শ্রমিক। তারা খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। ধান কাটার পারিশ্রমিক বাবদ তারা ৭১ বস্তা (৭০/৮০মণ) ধান পান। সেই ধান মোংলার মাছমারার সেলিমের মিলে নামিয়ে রেখে ভটভটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। 

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আনিসুর রহমান বলেন, লাশগুলো পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন এল ক য় হয় ছ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫