পটুয়াখালীর বাউফলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আব্দুল্লাহ রবি (৫২) নামে আরেক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালি গ্রামের হোগলা খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধারকৃত লাশের প্যান্টের পকেটে থাকা একটি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জ সদরের ইটালী গ্রামের বক্স শেখের পুত্র ও ডাকঘর ভেওয়ামারা লেখা রয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ ট্রাক ও কাভার্টভ্যানের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-৮১৫) সহকারী পদবী লেখা একটি পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে। লাশের পরনে নীল রংয়ের জিন্সপ্যান্ট ও কোমরে বেল্ট পরা ছিল।

লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামল চন্দ্র দে নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। ওই লাশের পকেটে থাকা এনআইডি কার্ডের তথ্যমতে তিনি বরিশালের কাউনিয়া ওয়ার্ডের জীবন চন্দ্র দের ছেলে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় নদী ও খাল থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের আত্মীয় স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে । সুরতহাল রিপোর্ট ও আত্মীয়দের অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক