বিপিএলে ম্যাচপ্রতি ২০০০ ডলার পাচ্ছেন শরফুদ্দৌলা
Published: 17th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এবার বিপিএলের আম্পায়ারিং প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত এই আম্পায়ারের পারিশ্রমিকও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স বিভাগের পরিচালক ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের বিপিএলে প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনার জন্য শরফুদ্দৌলা পাচ্ছেন ২ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামে চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে এবারের বিপিএলে আম্পায়ারিং শুরু করেছেন শরফুদ্দৌলা। আসরে তিনি মোট ছয়টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ভারত ও ইংল্যান্ডের আসন্ন সিরিজে দায়িত্ব পালনের কারণে বিপিএলের ফাইনালে তাকে দেখা যাবে না।
গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শরফুদ্দৌলা দারুণ সুনাম অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যশস্বী জয়সোয়ালের আউটের সাহসী সিদ্ধান্ত তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। গেল বছর তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
বিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন শরফুদ্দৌলা। দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তার উপস্থিতি দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে প্রত্যাশাও বেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।