পল্টনে ছিনতাইকারীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
Published: 21st, January 2025 GMT
রাজধানীর পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সাজু মোল্লা (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার শরীরে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাজু মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায়। বর্তমানে মুগদার মান্ডা এলাকায় থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম মোতালেব মোল্লা।
সাজুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু বায়জিদ জানান, বিজয়নগর এলাকার একটি বাসার প্রাইভেটকার চালান সাজু। গতরাতে মুগদা বাসা থেকে বায়জিদ তার নিজের অটোরিকশায় করে সাজুকে নিয়ে আসেন বিজয়নগর। বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকার রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিয়ে বায়জিদ রাস্তার উল্টো পাশে গিয়ে চা পান করছিলেন। এর কয়েক মিনিট পরে গলি থেকে চিৎকার শুনতে পান এবং বায়জিদকে নাম ধরে ডাকতে শুনেন। তখন তিনি দৌড়ে রাস্তার উল্টো পাশে গিয়েও সাজুকে আর দেখতে পাননি। পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় কল করলে পুলিশের সহযোগিতায় একটি গলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজুকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়জিদ আরও জানান, তার ধারণা গলি দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন সাজু। তার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে গেছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।