মাহাবুব আলম মৃদুলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
Published: 21st, January 2025 GMT
ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা মাহাবুব আলম মৃদুলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২১ জানুয়ারি)। ২০২১ সালের এই দিনে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের পরিচালক পদে আসীন ছিলেন তিনি।
২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহাবুব আলম মৃদুল। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। পরদিন শুক্রবার বাদ জুমা মরহুমের গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃদুলের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে তার গ্রামের বাড়ি, গাজীপুরে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স, রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিস, মিরপুরে ওয়ালটন কমপ্লেক্সসহ দেশব্যাপী ওয়ালটন প্লাজা, ডিস্ট্রিবিউটর শোরুমে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
মাহাবুব আলম মৃদুল ১৯৯৭ সালের ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এস এম শামছুল আলম ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান। মাহাবুব আলম মৃদুল ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ওয়ালটন গ্রুপে পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তার মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
মাহাবুব আলম মৃদুলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছে ওয়ালটন ও রাইজিংবিডি ডটকম পরিবার।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ব ব আলম ম দ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার
বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কের পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ায় আজ শুক্রবার সকালে ভালুকের আক্রমণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ১০ জন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের অধিকাংশ ম্রো জনগোষ্ঠীর। ভালুকের কারণে আহত হওয়ার ঘটনায় আবেদন না করায় এই পর্যন্ত কেউ ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ার কাইনপ্রে ম্রো (৩৫) পাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জুমখেতে কাজ করতে যান। সেখানে জুমের পাশে কলাবাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ কালো রঙের একটি ভালুক তাঁর ওপর আক্রমণ করে। ভালুকটি তাঁর পেটে ও মুখে আঘাত করতে থাকে। তাঁর চিৎকারে আশপাশে জুমের লোকজন এগিয়ে আসেন।
আহত কাইনপ্রে ম্রোর ভাই তনরুই ম্রো জানিয়েছেন, আশপাশের লোকজনের এগিয়ে আসা দেখে ভালুকটি কাইনপ্রে ম্রোকে ছেড়ে দিয়ে বনে পালিয়ে যায়। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কাইনপ্রে ম্রোকে উদ্ধার করে দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়া জেলা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। পাড়াটি রুমা উপজেলার গালেংগ্যা ইউনিয়নে পড়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহত কাইনপ্রে ম্রোর পেটে ও মাথায় গভীর ক্ষত আছে। এ জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, থানচি তিন্দু ইউনিয়নে মেনপই ম্রো নামের একজন ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম ভালুকের আক্রমণের শিকার হন। ওই একজনসহ ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ বছরে ১০ জন ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে থানচিতে দুজন, রুমাতে তিনজন, আলীকদমে একজন ও বান্দরবান সদর উপজেলা চিম্বুক পাহাড়ে চারজন রয়েছেন। কারও মৃত্যু না হলেও তাঁদের মধ্যে কেউ চোখ হারিয়েছেন, কারও হাত–পা পঙ্গু হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা একজন মারমা ও একজন খুমি ছাড়া অন্যরা সবাই ম্রো।
বন বিভাগের বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কেটে উদ্যান বাগান ও জুমচাষ করা এলাকাগুলোতে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাগানের কারণে ভালুক ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা আবাসস্থল ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যসংস্থান হারাচ্ছে। জীবনের তাগিদে তারা মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছে। বন নির্ভর মানুষকে অন্যভাবে আয়ের সংস্থানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ না হলে বন্য প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান গড়ে উঠবে না। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা না হলে বন্য প্রাণী ও মানুষ কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না।