পটুয়াখালী শহরের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। সেখানকার এক নিরাপত্তাকর্মী মারধরে আহত হয়েছেন। একই সময়ে পার্শ্ববর্তী আরও দুটি প্রতিষ্ঠানেরও টাকা লুট করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সদর রোড এলাকার পুরাতন আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী নিরাপত্তাকর্মী মজিবুর রহমান (৫৫) প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা আকস্মিকভাবে বুথে ঢুকে আমার চোখ-মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত ভবনের অন্ধকারে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে বাঁ হাত ভেঙে গেছে। ঘটনার সময় চোখ-মুখ বাঁধা থাকায় আমি কিছু দেখিনি।’

আহত মজিবুর রহমানকে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুথের চ্যানেল অফিসার রিংকু পাইন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ দল রাতে আমাদের অফিসে ঢুকে মজিবুর রহমানকে মারধর করে একটি কম্পিউটার নিয়ে গেছে। তারা বুথের মেশিনও ভাঙচুর করেছে।

পার্শ্ববর্তী ফ্যাশন অপটিক্যালের মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে।’ সদর পুলিশ ফাঁড়ি–সংলগ্ন বিকাশের দোকানের মালিক কামরুল সিকদার বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একটি মনিটর নিয়ে গেছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আদালতপাড়া এলাকায় ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। সিসি ফুটেজে দুজনকে দেখা গেছে। যত দ্রুত সম্ভব জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া আরও দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ভাসছিল ২২ কেজির কোরাল, ধরা পড়ল জালে  

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে আল আমিন খাঁর জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় জমায়।

জেলে আল-আমিন খাঁ বলেন, ‘‘সকাল ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুর চর এলাকায় ফিরছিলাম। তখন সাগরে বিশাল আকৃতির একটি কোরাল মাছ ভাসতে দেখি। আমি ও সঙ্গীয় জেলেরা জাল ফেলে মাছটি ধরার চেষ্টা করি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা করি। তখন মাছটি জালে ধরা পড়ে।’’ 

কুয়াকাটা মাছ বাজারে হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৯০ টাকা মাছটি কিনে নেন।

আরো পড়ুন:

যশোরে অতিবর্ষণে ভেসে গেছে ১৩৪ কোটি টাকার মাছ

স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ১৮ আগস্ট

হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল বলেন, ‘‘তবে এত বড় কোরাল মাছ কখনো দেখিনি। মাছটি সামান্য লাভে এখানেই বিক্রির চেষ্টা করব। তবে দাম না পেলে ঢাকা বা অন্য কোথাও পাঠাতে পারি।’’

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘কোরাল দেশের বাজারে দামি ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। কুয়াকাটার জেলেদের জালে মাঝে-মাঝে বড় আকৃতির কোরাল ধরা পড়ে। এ ধরনের মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভালো মূল্য পাওয়া যায়।’’

অন্যান্য জেলেদের জালেও বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ