ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলার মাঝপথেই যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগে দল পেলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। মাইনর লিগের দল আটালান্টা ফায়ারে যোগ দিচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
২৮ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জন্য প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়েছে আগে। টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহখানেক আগে ৩৮ বছর বয়সী সাকিবকে আন্তর্জাতিক ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ প্লেয়ার হিসেবে নিয়েছে আটালান্টা। সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যারিবিয়ান সুপার লিগের ব্যস্ততা শেষ করে আটালান্টার হয়ে খেলতে যাবেন সাকিব।
সিপিএল খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকা সাকিবের প্রথম ম্যাচ ভালো যায়নি। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৬ বলে ১১ রান করেন। বোলিংয়ে এক ওভারে দিয়েছেন ৬ রান।
মাইনর লিগ ক্রিকেটের সাউদার্ন ডিভিশনের দল হিসেবে খেলে আটালান্টা। তাদের ডিভিশনে রয়েছে ওরলান্ডো গ্যালাক্সি, লডারডেল লায়ন্স, মরিসভিলে র্যাপ্টোর্স, বাল্টিমোর রয়্যালস ও আলাটাল্টা লাইটিং। ৩০ আগষ্ট ওরলান্ডো গ্যালাক্সির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে আটালান্টা ফায়ার। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ৫ অক্টোবর।
সাকিব ছাড়াও আটালান্টা ফায়ারের হয়ে খেলবেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলা স্টিভেন টেলর ও অ্যারন জোন্স।
সাকিবকে নিশ্চিত করে আটালান্টা নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট করেছে, ‘‘আমরা রোমাঞ্চ নিয়ে ঘোষণা করছি যে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ওয়াইল্ড কার্ড হিসেবে ২০২৫ মাইনর লিগ মৌসুমে আটালান্টা ফায়ার ক্রিকেট দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ব্যাট ও বল হাতে একজন গেম চেঞ্জার সাকিব অতুলনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও তারকা শক্তি এনে দেবেন ফায়ারের লাইনআপে। আটলান্টায় তার জাদু দেখার জন্য তৈরি হন।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ইনর ল গ আট ল ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী