কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নতুন ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসে। এরইমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

২০২১ সালের ১১ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী একই বছরের নভেম্বরে ভূমি উন্নয়ন ও ভৌত কাজ শুরু হয়। প্রথম মেয়াদে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে দ্বিতীয় মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় আবারো ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করে সেনাবাহিনীর ওই ইউনিট। এ বিষয়ে আগামী ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস.

এম শহিদুল হাসান বলেন, “নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যেই চারটি আবাসিক হল ও চারটি একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ করে নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টার ও ভিসি বাংলোর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। তিনটি একাডেমিক ভবনের ৭০ শতাংশ এবং একটি ভবনের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চারটি আবাসিক হলের মধ্যে একটি ৯০ শতাংশ এবং বাকি তিনটির গড়ে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. হায়দার আলী বলেন, “২০২৬ সালের জুন-জুলাই মাসে আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে চারটি আবাসিক হল এবং চারটি একাডেমিক ভবন চালু করা হবে। আর দশ মাস সময় আছে; এর মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।”

নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন দাঁড়াবে ২৪৪ দশমিক ১৯ একর।

ঢাকা/ এমদাদুল হক/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নত ন ক য ম প স র

এছাড়াও পড়ুন:

শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদেরকেই হজের জন্য নিবন্ধন করাতে হবে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না।

বৃহস্প‌তিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের সঙ্গে হজ এজেন্সির যোগসূত্র তৈরির লক্ষ্যে এ হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করেছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

আরো পড়ুন:

ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন

অস্ট্রেলিয়ায় ‘ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে’ বাংলাদেশ

অসুস্থ ও শারীরিক সক্ষমতা নেই, এরকম ব্যক্তিদেরকে হজে নেওয়া হলে সরকারকে বিব্রত হতে হয়, জা‌নি‌য়ে উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, শারী‌রিকভাবে অক্ষম হা‌জি‌দের জন‌্য নানারূপ বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এজন্য শারীরিকভাবে অক্ষম ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে হজের জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ও শারীরিক সক্ষমতাবিহীন ব্যক্তিদেরকে হজে না নেওয়ার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ করেছেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “২০২৫ সালে আমরা একটি সুন্দর হজ উপহার দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।“ ২০২৬ সালের হজ আরো ভালো হবে ব‌লে আশা ব‌্যক্ত ক‌রেছেন তি‌নি।

হজ ও ওমরাহ মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ ও ওমরাহ ফেয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে হজ এজেন্সির সঙ্গে হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুসারে হজ প্যাকেজ বাছাই করতে পারবেন।” তিনি হাবের এ মেলা আয়োজনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

হাবের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিরোধ নেই, জা‌নি‌য়ে আ ফম খা‌লিদ হো‌সেন ব‌লেছেন, “আমরা পারস্পরিক সম্মান, মর্যাদা ও ভ্রাতৃত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমরা হজযাত্রীদের স্বার্থে একসাথে কাজ করব।” তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে হাবকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

হজ এজেন্সির উদ্দেশে ড. খালিদ বলেন, “অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের ব্যাগে মাদকদ্রব্যসহ সৌদি আরবে অননুমোদিত দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। অনেকে দেশে ফেরার সময় হাজিদের মাধ্যমে অবৈধভাবে সোনা নিয়ে আসেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।” তিনি এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “হজযাত্রী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। এদের কারণে হজের খরচ বেড়ে যায়, আবার হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে।” 

হজ গমনেচ্ছুক ব্যক্তিদেরকে এজেন্সি মালিক কিংবা তার বৈধ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে হজে যাওয়ার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা। এছাড়া, তিনি হজ এজেন্সির সঙ্গে হজযাত্রীদেরকে চুক্তি সম্পাদন এবং হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫ উপলক্ষে প্রকাশিত হাবের মুখপত্র ‘হজ্জ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।

তিন দিনব্যাপী এ মেলায় মোট ১৫৪ টি স্টল আছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংকগুলো এ মেলায় হজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম ও তথ্য সেবা প্রদর্শন করছে। এছাড়া, হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সুযোগও আছে মেলার স্টলগুলোতে। ১৬ আগস্ট বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মেলা শেষ হবে।

হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ইব্রাহিম আবদুল্লাহ আল-আহমারী ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এশিয়ান গেমসে প্রথমবার বাংলাদেশের সার্ফাররা
  • সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচ, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আর
  • ইউরোপের কোন লিগ কবে শুরু, কারা কোথায় এলেন–গেলেন
  • শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • দাখিল ও আলিম পর্যায়ে চালু হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ