যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘সাবেক যবিপ্রবিয়ানদের মিলনমেলা ২০২৫’ শীর্ষক এ মিলনমেলা শুরু হয়।

এতে সাবেক যবিপ্রবিয়ানদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

হোসাইন আল মামুন বলেন, “যবিপ্রবিতে আসার পর যারা আমার সঙ্গে দেখা করেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। আপনারা একত্রিত হয়ে অ্যালামনাই সোসাইটি গঠন করতে চাচ্ছেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো। ডানে-বামে না তাকিয়ে এটি গঠন করুন। বিশ্ববিদ্যালয় হল মা তুল্য। মায়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একতাবদ্ধ হয়ে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক যবিপ্রবিয়ানদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “আমরা যেন পরস্পরের ভাই-বোন হয়ে যাই। তাহলে আমরা সবাই একে অপরকে পাশে পাব। আমরা এখানে সবাই একটি পরিবার। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের সম্মান আরো বেড়ে যাবে।”

তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অ্যালামনাই আছেন, তারা যেন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নেয়। এ পরিবারের সবার জন্যই আমাদের হৃদয়ের জায়গা খোলা থাকবে, আমরা হৃদয় খুলে কথা বলব এবং যেকোন সমস্যা বা বিষয় নিয়ে একে অপরের পাশে থাকব।”

ইএসটি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে সিডিএম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মো. নাভীদ আঞ্জুম এবং পিইএসএস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোঃ রায়হান রাকিব সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী অধ্যাপক ড. মোছা: আফরোজা খাতুন।

এছাড়া বক্তব্য দেন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাসেল আলী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ড. মোঃ রাফিউল হাসান ও তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ড. সৈয়দ হাসান সোহান।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আগের মতোই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে হবে। 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ