কর কর্মকর্তা ফয়সাল দম্পতিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 22nd, January 2025 GMT
১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার স্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক গোলাম মাওলা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে
আসামিরা হলেন— অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, শ্যালক আফতাব আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, মামা শ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, খালা শাশুড়ি মাহমুদা হাসান, শ্যালিকা ফারহানা আফরোজ, খালা রওশন আরা খাতুন, ঘনিষ্ঠজন খন্দকার হাফিজুর রহমান, বোন ফারহানা আক্তার, মা কারিমা খাতুন ও ঘনিষ্ঠজন কাজী নূর ই আলম ছিদ্দিকী।
আসামিদের বিরুদ্ধে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে এবং অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন ও ছদ্মাবৃত্ত করা তথা মানিলন্ডারিং করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইন্টারনেট বন্ধ, স্টারলিংক চালু করলেন ইলন মাস্ক
মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ইরান সরকারের পক্ষ থেকে স্থলভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি উপগ্রহনির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক সেখানে চালু করেছেন।
শনিবার সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে মাস্ক লিখেন, “The beams are on,” অর্থাৎ “সংযোগ চালু হয়েছে।”
ইরান সরকার শুক্রবার সকালে দেশের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন টাইমস জানায়, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশটির সাধারণ মানুষ আন্তর্জাতিক সংবাদ ও তথ্যের উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্টারলিংকের মাধ্যমে বিকল্প ইন্টারনেট সংযোগ চালু করেন ইলন মাস্ক।
তার আগে ইসরায়েল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারপন্থি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। এই হামলার ফলে ইরানে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরকারি সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হামলা ইরানের শাসকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য আন্দোলন দমন করতেই ইরান সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
শুক্রবারই মার্কিন রক্ষণশীল টকশো সঞ্চালক মার্ক লেভিন এক পোস্টে ইলন মাস্ককে বলেন, তিনি যেন স্টারলিংকের মাধ্যমে ইরানিদের পুনরায় ইন্টারনেট সংযোগ দেন। মার্ক লেভিন মাস্ককে বলেন, স্টারলিংক চালু করা হলে তা ইরানি শাসনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেবে। এরপরই ইলন মাস্ক জানান, স্টারলিংক চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক হচ্ছে স্পেসএক্সের মালিকানাধীন একটি উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে থাকা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দূরবর্তী বা সংযোগবিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল ও ওয়াশিংটন টাইমস