চীনসহ অন্য যেসব দেশ রাশিয়ার তেল কিনছে, তাদের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করার বিষয়ে এখনই ভাবছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার তিনি এ কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এখনই তা না ভাবলেও ‘দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে’ হয়তো তা করতে হতে পারে। যদিও একই অপরাধে ভারতের পণ্যে শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলোর বিরুদ্ধেও আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় দুই ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। খবর রয়টার্সের

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। অভিযোগ, ভারত এখনো রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। কিন্তু চীন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলেও দেশটির বিরুদ্ধে তিনি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি।

ফক্স নিউজের শন হ্যানিট ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো সমাধান বা অন্তত যুদ্ধবিরতি আনতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি এখন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন কি না?

ট্রাম্প জবাব দেন, ‘আচ্ছা, আজ যা ঘটেছে তাতে আমার মনে হয়, এখনই এ নিয়ে ভাবতে হবে না। হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পরে এ নিয়ে ভাবতে হতে পারে, কিন্তু এখনই সে প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি, বৈঠকটা খুব ভালো হয়েছে।’

বাস্তবতা হচ্ছে, যদি ট্রাম্প রাশিয়া-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরও বাড়ানোর পথে হাঁটেন, তাহলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ধীরগতির অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ও আমদানি শুল্ক কমাতে শি–ট্রাম্প একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। ট্রাম্প যদি দমনমূলক পদক্ষেপ জোরদার করেন, তাহলে রাশিয়ার বাইরে সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে চীন।

ভারতের অবস্থান

ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। ঘটনা হলো, ভারতের আমদানি নির্ভর করে বাজারের ওপর। সার্বিকভাবে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটা করা হচ্ছে।’ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে দুঃখজনক আখ্যা দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদক ষ প আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার তেল কেনা, চীনের ওপর এখনই শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করছেন না ট্রাম্প

চীনসহ অন্য যেসব দেশ রাশিয়ার তেল কিনছে, তাদের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করার বিষয়ে এখনই ভাবছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার তিনি এ কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এখনই তা না ভাবলেও ‘দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে’ হয়তো তা করতে হতে পারে। যদিও একই অপরাধে ভারতের পণ্যে শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলোর বিরুদ্ধেও আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় দুই ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। খবর রয়টার্সের

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। অভিযোগ, ভারত এখনো রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। কিন্তু চীন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলেও দেশটির বিরুদ্ধে তিনি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি।

ফক্স নিউজের শন হ্যানিট ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো সমাধান বা অন্তত যুদ্ধবিরতি আনতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি এখন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন কি না?

ট্রাম্প জবাব দেন, ‘আচ্ছা, আজ যা ঘটেছে তাতে আমার মনে হয়, এখনই এ নিয়ে ভাবতে হবে না। হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পরে এ নিয়ে ভাবতে হতে পারে, কিন্তু এখনই সে প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি, বৈঠকটা খুব ভালো হয়েছে।’

বাস্তবতা হচ্ছে, যদি ট্রাম্প রাশিয়া-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরও বাড়ানোর পথে হাঁটেন, তাহলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ধীরগতির অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ও আমদানি শুল্ক কমাতে শি–ট্রাম্প একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। ট্রাম্প যদি দমনমূলক পদক্ষেপ জোরদার করেন, তাহলে রাশিয়ার বাইরে সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে চীন।

ভারতের অবস্থান

ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। ঘটনা হলো, ভারতের আমদানি নির্ভর করে বাজারের ওপর। সার্বিকভাবে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটা করা হচ্ছে।’ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে দুঃখজনক আখ্যা দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ