Risingbd:
2025-11-02@10:28:15 GMT

আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’

Published: 22nd, January 2025 GMT

আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’

আল নাসরের হয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অভিষেক হয়েছিল। দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে রোনালদো সৌদি ক্লাবটির হয়ে পেয়ে গেলেন এক অন্য রকম ‘১০০’- এর দেখা।

মঙ্গবার (২১ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল খালিজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পায় আল নাসর। এই ম্যাচে দুইবার লক্ষ্য ভেদ করেন পর্তিগিজ মহাতারকা রোনালদো। গোল করে এবং করিয়ে রিয়াদের ক্লাবটির হয়ে এই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি-অর জয়ী।

আল খালিজের মাঠে এই ম্যাচে ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল স্বাগতিকরা। লাল কার্ড দেখেছিলেন সায়েদ আল হামসাল। এরপরও প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে লিড নেয় নাসর। নিচু শটে আল খালিজের জাল খুঁজে বের করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘৯’ গোলের মহারণে জয়ী বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে

শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল

ম্যাচের ৮০ মিনিটে সফল পেনাল্টি কিকে আল খালিজকে ১-১ সমতায় ফেরান কনস্টাস ফরচুনিস। তবে ঠিক এক মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় রোনালদোর দল। গোলটি করেন ঘানাম। রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন যোগকরা সময়ে (৯৮ মিনিটে)।

তবে ৬৫ মিনিটের প্রথম গোলের পরই ‘১০০’ গোলের মাইলফলক স্পর্ষ করেন রোনালদো। আল নাসরে ২০২৩ সালে যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির হয়ে ৯২ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি। এই সময়ে তিনি গোল করেছেন ৮২টি এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৮টি।

চল্লিশ ছুঁই-ছুঁই এই পর্তুগিজের ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৯১৯ গোল হয়ে গেল। ১ হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোর চাই আরও ৮১ গোল। সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ১৩ গোল করলেন রোনালদো, যা লিগটির সর্বোচ্চ।

রোনালদো বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গোল করলেন ৪৫৬টি। অথচ নেইমারের ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৪৩৯! রাউল গঞ্জালেসের ৪৪৮টি, থিয়েরি অঁরির ৪১৭টি এবং রোনালদোর একসময়ের সতীর্থ ওয়েইন রুনির ৩৬৬টি।

রোনালদো তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মাঝে ৪টি ক্লাবের হয়ে অন্তত ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন। শুধুমাত্র ক্যারিয়ার শুরু করা স্পোর্টিং লিসবনে তিনি এই মাইলফলক স্পর্ষ করতে পারেননি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল আল খ ল জ গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।

সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।

পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।

এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।

আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
  • বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া