নয় থেকে নব্বই— সব বয়সি দর্শকই বুঁদ হয়েছিলেন ‘পুষ্পা’ সিনেমার ‘ও আন্তাভা, ও ও আন্তাভা’ শিরোনামের আইটেম গানে। গানটিতে সামান্থার ঝড় তোলা নাচ এখনো দোলা দেয় সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে।

‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় পার্টের আইটেম কন্যা হন ২৩ বছরের শ্রীলীলা। ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর প্রশংসা কুড়ালেও ‘কিসসিক’ গানটি মুক্তির পর দর্শকদের মন নাড়াতে ব্যর্থ হয়। তবে সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসের ঝড় ছিল অপ্রতিরোধ্য। এখনো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি।

পরিচালক সুকুমার ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছেন। আইটেম কন্যা কে হবেন, তা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মাঝে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার সংগীত পরিচালক দেবী শ্রী প্রসাদ (ডিএসপি) জানালেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালকের উপর নির্ভর করছে। তবে কয়েকজন নায়িকার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই শিল্পী।

আরো পড়ুন:

সাই পল্লবীর সিনেমার আয় ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

সাই পল্লবীর সিনেমার আয় ৩৮৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবী শ্রী প্রসাদ বলেন, “গান এবং তার চাহিদার উপরে সবকিছু নির্ভর করছে। কিন্তু আমি ব্যতিক্রমী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। সাই পল্লবী এমনই একজন শিল্পী, আমি তার নাচের অনেক বড় ভক্ত। বলিউডের কথা যদি বলি, তবে আমার মনে হয়— জাহ্নবী কাপুর অসাধারণ নৃত্যশিল্পী। আমি তার অল্প কিছু গান দেখেছি, সে শ্রীদেবী ম্যামের স্টাইল পেয়েছে। শেষ পর্যন্ত গানটির জন্য নিখুঁত কাউকেই খুঁজে নেওয়া হবে।”

আইটেম গানের আকর্ষণ বৃদ্ধিতে নাচের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেবী শ্রী প্রসাদ বলেন, “আমার মতে— যে ভালো নাচে, সে এই ট্র্যাকে বিশেষ শক্তি তৈরি করে এবং গানগুলোকে আলাদা করে তোলে।”

ভক্তরা যখন ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী কিস্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, তখন ডিএসপির মন্তব্য উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সাই পল্লবী ও জাহ্নবীর নাম উল্লেখ করায় চর্চা আরো জোরালো হয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইট ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ