এবার রংপুরে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পঞ্চম ‘ডিজিটাল বুথ’ চালু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রংপুরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্তরে পেপার প্যালেস টাওয়ারে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের নতুন ডিজিটাল বুথ উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আহছান উল্ল্যা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পূবালী ব্যাংকের রংপুরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ আলতাব হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আহছান উল্ল্যা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে দেখে শুনে বিনিয়োগ করার দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও রংপুরে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের নতুন ডিজিটাল বুথে নতুন বিও হিসাব খোলা, মার্জিন লোনের উপর বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। 

পাশাপাশি, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা, মার্জিন ঋণ সুবিধা, আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং ইন্সট্রাকশন পরিপালন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানসহ নানা সুবিধার তথ্য তুলে ধরেন। 

একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লোভ সংবরণ করে ধৈর্য্য ধারণ করে শেয়ার কেনা-বেচার পরামর্শ দেন।

এদিকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাকিম মো.

দবির উদ্দিন বর্তমান পুঁজিবাজারের উপর বক্তব্য রাখেন এবং দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. রাকিবুল হাসান রাকিব, রংপুরে নতুন ডিজিটাল বুথের ইনচার্জ মো. মিনহাজুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় আরএন টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চতুর্থ ডিজিটাল বুথ উদ্বোধন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ