পিকনিকে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
Published: 24th, January 2025 GMT
কুয়াকাটায় পিকনিকে যাওয়ার সময় ঝালকাঠির নলছিটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৫ টার দিকে ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের প্রতাপ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আসাদুজ্জামান আসাদ যশোর জেলার বেনাপোল এলাকার মৃত রুহুল আমিন সরদারের ছেলে।
আসাদের স্ত্রী রুবিনা বেগম বলেন, “আমরা যশোর বেনাপোল থেকে পিকনিকের জন্য কুয়াকাটা যাচ্ছিলাম। পথে যাত্রাবিরতি দিলে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য সবাই গাড়ি থেকে নামে। পরে সবাই গাড়িতে উঠলেও আমার স্বামী উঠেনি। খোঁজাখুজি করার পর তার লাশ রাস্তার উপর দেখতে পাই।”
স্থানীয়রা জানান, ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত কোনো যানবাহন তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে নলছিটি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/অলোক/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন নলছ ট
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।