চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিশ্বখ্যাত মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ১১৯তম বার্ষিক ওরশ মাহফিল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ওরশের প্রধান দিবসে সারাদেশে থেকে আসা লাখ লাখ ভক্ত অনুরাগিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো দরবারশরীফ।

উপমহাদেশের অন্যতম সুফী পীঠস্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের অধ্যাত্ম শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভাণ্ডারী তরিকার মহান প্রবর্তক গাউছুলআজম মাইজভাণ্ডারী হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.

) প্রকাশ হজরত সাহেব কেবলার ১১৯-তম বার্ষিক ওরশ শরীফ প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় বাংলামাসের ১০ই মাঘ। 

জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-পেশার সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আত্মিক শুদ্ধি ও শান্তি প্রত্যাশী দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ আশেক ভক্ত প্রতি বছর মাইজভাণ্ডার শরীফের সর্বপ্রধান ও সর্ববৃহৎ এই ওরশ শরীফকে উপলক্ষ্য করে সমবেত হয় দরবারে। 

প্রতি বছরের মতো গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের মোন্তাজেম, জিম্মাদার ও সাজ্জাদানশীন আঞজুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব শাহসুফি ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)-এর সার্বিক ব্যবস্থাপানায় এ বছরও ওরশ শরীফ উপলক্ষে নানাবিধ ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার গাউছুলআজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) রওজা শরীফে গিলাফ চড়ানো, গোলাপ নির্বারণী, মিলাদ ও মোনাজাতের মাধ্যমে ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাদ এশা ‘মাইজভাণ্ডারী সাংস্কৃতিক পরিষদ’-এর উদ্যোগে জিকিরে সামা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ১০ মাঘ প্রধান দিবসে দিনব্যাপী কোরআনখানি ও জিকির দুপুর ১২ টায় মাইজভাণ্ডার শাহী ময়দানে কেন্দ্রীয় জুমার জামাত, বাদ এশা গাউছিয়া আহমদিয়া ভবন ময়দানে ‘শানে বেলায়েত মাহফিল’, রাত ১১ টায় গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) দোয়ার মেহরাব হতে মিলাদুন্নবী, তাওয়াল্লাদে গাউছিয়া ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পরে উপস্থিত জায়েরীনদের মাঝে তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে ওরশ শরীফের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। 

ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নায়েব মোন্তাজেম শাহজাদা সৈয়দ হোসেইন রাইফ নুরুল ইসলাম রুবাব মাইজভাণ্ডারী বলেন, “ওরশ শরীফ উপলক্ষে আগত আশেক ভক্তদের জন্য ইতোমধ্যে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের পক্ষ হতে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল, পার্কিং, বৈঠক, নিরাপত্তা, স্যানিটেশন, আপ্যায়নসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি দরবারের পক্ষ হতে শত শত স্বেচ্ছাসেবকদের দল ওরশ শরীফের সমস্ত আয়োজন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পাদন করার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “ওরশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন হতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দরবারের আওলাদদের সাথে প্রশাসনিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত হয় ছ দরব র

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন

আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 
  • মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
  • বাংলাদেশের শত্রুতারা আবার মাথা মাথাচারা দিয়ে উঠতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
  • ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • ইসমাইল হোসেন (মুরুব্বী) এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া 
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে বর্ণাঢ্য র‌্যালি