Samakal:
2025-07-31@07:25:56 GMT

এ বছর শৈত্যপ্রবাহ কম কেন

Published: 25th, January 2025 GMT

এ বছর শৈত্যপ্রবাহ কম কেন

‘অনেকদিন পর বাড়িতে আসছি। এখানে যে পরিমাণ শীত, সেই তুলনায় ঢাকায় কোনো শীতই নাই’- বলছিলেন দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের হোসাইন রাব্বি।

আবহাওয়া অফিসের বক্তব্যও অনেকটাই এর কাছাকাছি। শীতকালে কনকনে ঠান্ডা বলতে যা বোঝায়, তা এখন শুধু বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষই টের পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তবে ওই দুই অঞ্চলের কোনো কোনো স্থানে ঠান্ডার অনুভবটা বেশি হলেও তার পেছনের কারণ কোনো শৈত্যপ্রবাহ না। আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডা পড়ছে কুয়াশার কারণে। সেইসাথে তারা এ-ও বলছেন, এ বছর দেশে শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা কম। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মিলিয়ে এখন অবধি বাংলাদেশ তিনটি শৈত্যপ্রবাহ দেখেছে। যদিও সেগুলোর সবগুলোই ছিল মৃদু ও মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ এবং তার প্রভাব পড়েছে কেবল ওই উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই।

আবহাওয়াবিদ ড.

মো. বজলুর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এ বছর মূলত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে এবং সেই সঙ্গে যশোর ও কুষ্টিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা গেছে। তবে এবার বাংলাদেশে কেন এত কম সংখ্যক শৈত্যপ্রবাহ পড়েছে, এর কারণ কী?

আবহাওয়া মিলছে না পূর্বাভাসের সঙ্গে 

গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলেছিল, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝে মোট ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সে সময় বলা হয়, এই সময়ের মাঝে অন্তত তিনটি, সর্বোচ্চ আটটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চারটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আবহাওবিদরা জানিয়েছেন, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে একটি ও এখন পর্যন্ত জানুয়ারিতে দুইটি মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হয়েছে। তবে আগামী দুই একদিনের মাঝে দেশের কোনো কোনো স্থানে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

এদিকে তখন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ১২টি শৈত্যপ্রবাহের কথা বললেও সেই সংখ্যাটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অধিদপ্তরের সাবেক আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল মান্নান। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, সাধারণত একেকটি শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব হয় তিন থেকে পাঁচ দিন। সেই হিসাবে, জানুয়ারি মাসে তিন থেকে চারটি শৈত্যপ্রবাহ হয়, ফেব্রুয়ারিতে দুইটি। কিন্তু এবার সেই অনুযায়ী শৈত্যপ্রবাহ হয়নি।

শীতের অনুভূতির ভিন্নতা ও কুয়াশা

গত বছরের ডিসেম্বরে বলা হয়েছিল, কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হবে। তবে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদও আজ বিবিসি বাংলাকে বলেন, শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা কমে গেলেও সামগ্রিকভাবে শীত কম। কুয়াশার কারণে কোথাও কোথাও শীতের তীব্রতা আছে।

আরেক আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘কাছাকাছি সময়ে এ রকম আবহাওয়া কখনও দেখিনি।’ তার মতে, ‘এ বছর সারা দেশের কোথাওই সেভাবে শীত পড়েনি। উত্তরবঙ্গে যে ঠান্ডা লাগছে, তা শৈত্যপ্রবাহের কারণে না। ওখানে শৈত্যপ্রবাহ ছিলই না কয়েকদিনে। ওখানে দিনের বেলা সূর্য নেই, তাই সেখানে তাপমাত্রা কম এবং মানুষের শীতের অনুভূতি বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাতের তাপমাত্রা ১০-এর ওপরে থাকুক বা যা-ই থাকুক, আর দিনের বেলা যদি সূর্য না ওঠে, তাপমাত্রা ১৫-এর কাছাকাছি থাকে। এর মানে শীতের অনুভূতি তীব্র আকারের।’

ওমর ফারুক আরও বলেন, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কুয়াশার পরিমাণও বেশি ছিল না। অন্যান্য বছর টানা কয়েকদিন কুয়াশা থাকে, সূর্যের আলো দেখা যায় না। এ বছর শুধু রংপুরেই দুই একদিন ধরে কুয়াশা দেখা গেছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ জায়গায় রোদ বেশি পাওয়া গেছে। তার মতে, ‘কুয়াশার প্রভাব কম থাকার কারণেও মানুষের শীতের অনুভূতি কম।’

আবহাওয়াবিদরা জানান, কুয়াশা কেটে গেলে শীতের তীব্রতাও কমে আসবে। মূলত, লম্বা সময় ধরে ঘন কুয়াশা পড়লে সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠে পড়ার সুযোগ পায় না, ফলে তা ভূমিকে উত্তপ্ত করতে পারে না এবং শীত বেশি লাগে। এর সঙ্গে সূর্যের দক্ষিণায়ন বা সূর্যের আলোর প্রাপ্যতা কমে যাওয়াও শীত বাড়ার একটি কারণ।

সাধারণত সূর্যের আলোর প্রাপ্যতা সাধারণত আট থেকে ১০ ঘণ্টা হবার কথা। কিন্তু কুয়াশা বেশি হলে এবং বেশিক্ষণ থাকলে ভূ-পৃষ্ঠ সূর্যের আলো পায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।

শৈত্যপ্রবাহ কমার কারণ

দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেলে শীত বেশি অনুভূত হয়। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, রাতের তাপমাত্রা কমতে পারছে না। গতবারও ঘন কুয়াশার কারণে দুই সপ্তাহের মতো দিনের তাপমাত্রা কমে গেছে।’

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বছর এই সময়ে ওপর থেকে যে হিমেল হাওয়া নিচে নেমে আসার কথা। তার জন্য পশ্চিমা লঘুচাপ থাকতে হয়। পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয় ভূমধ্যসাগরে। ওখান থেকে কাশ্মীর হয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু ওদিক থেকে এবার বাতাস ঢুকতে পারে নাই।’

শৈত্যপ্রবাহ কম হওয়ার হওয়ার আরেকটি কারণ, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের বিচরণ। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এবার ডিসেম্বরের পুরোটা সময়জুড়েই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের বিচরণ ছিল। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থাকার কারণে এই পুরো অঞ্চলটায় তাপ বেশি ছিল। সে কারণে শীতের মাত্রা জোরালোভাবে আসতে পারেনি।’

এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা কতটা? জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘কোনোকিছু দীর্ঘমেয়াদে হলে জলবায়ু পরিবর্তন বলা যায়। এক দুই বছরের পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তন না। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

তবে আবহাওয়া অফিস বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল, এই ৩০ বছরে বাংলাদেশের যে তাপমাত্রা এবং ১৯৯১ থেকে ২০২০ সাল, ৩০ বছরের যে তাপমাত্রা, তা তুলনা করলে দেখা যায় যে সাম্প্রতিক সময়ে সারা বছরের তাপমাত্রাই বেড়েছে ও বৃষ্টিপাত কমেছে।

শৈত্যপ্রবাহ কী?

বাংলাদেশে সাধারণত শীত পড়ে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে। এ সময় হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ঠান্ডা বাতাস উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, ফলে শীত অনুভূত হয়। যদি এই তাপমাত্রা কমতে কমতে নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায় তখন শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটাকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এর চেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

তবে শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে ধরতে হলে এই তাপমাত্রার স্থায়িত্বকাল অন্তত তিনদিন হতে হবে, অর্থাৎ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও তাকে কমপক্ষে তিনদিন থাকতে হবে। বাংলাদেশের মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকা শৈত্যপ্রবাহপ্রবণ।

শীতকালে বাংলাদেশে যে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় তা ভারতের দিল্লি, উত্তর, মধ্য প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র য র আল ওমর ফ র ক স লস য় স স ধ রণত বছর র এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ