বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশন ও বইঘর আয়োজিত লিটারারি ব্র্যান্ড শো ‘লেখকের গল্প: বিশেষ সাক্ষাৎকার সিজন-৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

একই সঙ্গে ‘বইপড়া ও পাঠকের গতিপ্রকৃতি কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক, বইপ্রেমী ও সাহিত্যনুরাগীরা। আলোচনায় অতিথির বক্তব্য রাখেন বুদ্ধিজীবী ফয়েজ আলম, কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, কবি নাসরীন জাহান, কথাসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, গবেষক ডক্টর সফিকুল ইসলাম, সামাজিক উদ্যোক্তা বাদল সৈয়দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাহিদ বাদশা। বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ‘লেখকের গল্প সিজন-৩’র ৩০ জন লেখক। এ ছাড়া বইভিত্তিক সংগঠন, সক্রিয় ফেসবুক কমিউনিটি, সামাজিক সংগঠন, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফ্লুয়েন্সার, বুক-রিভিউয়ার ও সাহিত্যানুরাগীরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ হৃদয়, রাসনা আমিন ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সজীব। উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান জয়, মাসুম আহমেদ আদি, আকাশ ইসলাম কাব্য, ফাহিম নোমান, হাসনাত আবদুল্লাহ, লতিকা হালদার, সাইদ মন, ইমামুল হাসান লিংকন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা রেহান জিহাদ। বুকওয়ার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজুর রহমান মনি, প্লাবন কুমার, এমদাদ হোসেন, নাইমুল ইসলাম, রুহি মোস্তারি স্বর্ণা, মাহজাব প্রমুখ। কেক কাটার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ। 

সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।

মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে। 

তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ