প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) থেকে নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র যোগ দিয়েছিলেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলালে। তিনি নিজে এবং তাকে নিয়ে আল-হিলাল যে স্বপ্ন দেখেছিল তার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। আর পূরণ না হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে ছিল তার লম্বা সময়ের ইনজুরি। ইনজুরির কারণে গেল দেড় বছরে সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে নেইমার মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন।

সার্বিক পরিস্থিতিতে নেইমার নিজে যেমন অস্বস্তিতে ছিলেন, তেমনি আল-হিলালও ছিল নিদারুণ অস্বস্তিতে। মুক্তির পথ খুঁজছিল উভয়েই। অবশেষে তাদের মুক্তি মিললো। আজ মঙ্গলবার সমঝোতার মাধ্যমে নেইমারের সঙ্গে চুক্তির অবসান ঘটিয়েছে আল-হিলাল।

এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রো লিগের ক্লাবটি। সেখানে তারা নেইমারকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছে, ‘আল-হিলালের সঙ্গে তার ক্যারিয়ারের সময়টুকুতে যেভাবে নেইমার প্রশংসনীয় সহযোগিতা করেছে সেটার জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি তার ক্যারিয়ারের উত্তরোত্তর সাফল্যও কামনা করছি।’’

আরো পড়ুন:

ব্রাজিলকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল কলম্বিয়ার 

আর্জেন্টিনা ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে জয়ের ধারায় ব্রাজিল

নেইমার ২০২৩ সালের আগস্টে বার্ষিক রেকর্ড ১০৪ মিলিয়ন ডলার বেতনে আল-হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। বাকি সময় ইনজুরির কারণে আর খেলা হয়নি তার। আল-হিলালে আসার দুই মাসের মাথায় ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গিয়ে লিগামেন্টের ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। যে ইনজুরির কারণে তিনি এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। গেল বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে স্বল্প সময়ের জন্য আল-হিলালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সে কারণে এরপর আর খেলা হয়নি তার। এখন তিনি ইনজুরি থেকে সেরে উঠে ব্রাজিলের হেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন। জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা পোষণ করে সিএনএনকে বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি এটা হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার শেষ শট। আমার শেষ সুযোগ। আমি যাতে এই বিশ্বকাপে খেলতে পারি সেটার জন্য আমি সম্ভাবস্য সবকিছু করব।’’

কিছুদিন আগে আল-হিলালের কোচ জর্গে জেসুস বলেছিলেন, ‘‘আসলে আমরা যে লেভেলের ফুটবল খেলি সেটা নেইমার আর খেলতে পারবেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানকার সবকিছু তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

অর্থাৎ কোচের কথাতেই বোঝা গিয়েছিল আল-হিলারে নেইমারের ক্যারিয়ার শেষ। এবার সমঝোতার মাধ্যমে সেটার ইতি টানা হলো।

প্রশ্ন হচ্ছে নেইমার তাহলে কোথায় যাচ্ছেন? বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের কোনো একটি ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তিনি তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসেও ফিরে যেতে পারেন। যেখানে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। সান্তোসের হয়ে নেইমার ১৭৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ১০৭টি। এরপর ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। যেখানে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে তিনি জিতেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর ২০১৬ সালে ব্রাজিলের হয়ে জিতেন অলিম্পিকে স্বর্ণ।

২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে ফুটবল ইতিহাসে দলবদলের রেকর্ড ২৩০ মিলিয়ন ডলারে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন। পিএসজির হয়ে নেইমার পাঁচটি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতেন। ২০১৯-২০২০ মৌসুমে পিএসজিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলেন। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। এরপর মেসিও পিএসজিতে যোগ দেন। কিন্তু এরপর নানা কারণে শেষ পর্যন্ত পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সেনসেশান।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আল হ ল ল র জন য ইনজ র প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা