সমঝোতায় আল-হিলাল ছাড়লেন নেইমার, যাচ্ছেন কোথায়?
Published: 28th, January 2025 GMT
প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) থেকে নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র যোগ দিয়েছিলেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলালে। তিনি নিজে এবং তাকে নিয়ে আল-হিলাল যে স্বপ্ন দেখেছিল তার ছিটেফোঁটাও পূরণ হয়নি। আর পূরণ না হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে ছিল তার লম্বা সময়ের ইনজুরি। ইনজুরির কারণে গেল দেড় বছরে সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে নেইমার মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন।
সার্বিক পরিস্থিতিতে নেইমার নিজে যেমন অস্বস্তিতে ছিলেন, তেমনি আল-হিলালও ছিল নিদারুণ অস্বস্তিতে। মুক্তির পথ খুঁজছিল উভয়েই। অবশেষে তাদের মুক্তি মিললো। আজ মঙ্গলবার সমঝোতার মাধ্যমে নেইমারের সঙ্গে চুক্তির অবসান ঘটিয়েছে আল-হিলাল।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রো লিগের ক্লাবটি। সেখানে তারা নেইমারকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছে, ‘আল-হিলালের সঙ্গে তার ক্যারিয়ারের সময়টুকুতে যেভাবে নেইমার প্রশংসনীয় সহযোগিতা করেছে সেটার জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি তার ক্যারিয়ারের উত্তরোত্তর সাফল্যও কামনা করছি।’’
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল কলম্বিয়ার
আর্জেন্টিনা ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে জয়ের ধারায় ব্রাজিল
নেইমার ২০২৩ সালের আগস্টে বার্ষিক রেকর্ড ১০৪ মিলিয়ন ডলার বেতনে আল-হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। বাকি সময় ইনজুরির কারণে আর খেলা হয়নি তার। আল-হিলালে আসার দুই মাসের মাথায় ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গিয়ে লিগামেন্টের ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। যে ইনজুরির কারণে তিনি এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। গেল বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে স্বল্প সময়ের জন্য আল-হিলালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সে কারণে এরপর আর খেলা হয়নি তার। এখন তিনি ইনজুরি থেকে সেরে উঠে ব্রাজিলের হেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন। জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা পোষণ করে সিএনএনকে বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি এটা হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার শেষ শট। আমার শেষ সুযোগ। আমি যাতে এই বিশ্বকাপে খেলতে পারি সেটার জন্য আমি সম্ভাবস্য সবকিছু করব।’’
কিছুদিন আগে আল-হিলালের কোচ জর্গে জেসুস বলেছিলেন, ‘‘আসলে আমরা যে লেভেলের ফুটবল খেলি সেটা নেইমার আর খেলতে পারবেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানকার সবকিছু তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
অর্থাৎ কোচের কথাতেই বোঝা গিয়েছিল আল-হিলারে নেইমারের ক্যারিয়ার শেষ। এবার সমঝোতার মাধ্যমে সেটার ইতি টানা হলো।
প্রশ্ন হচ্ছে নেইমার তাহলে কোথায় যাচ্ছেন? বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের কোনো একটি ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তিনি তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসেও ফিরে যেতে পারেন। যেখানে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। সান্তোসের হয়ে নেইমার ১৭৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ১০৭টি। এরপর ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। যেখানে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে তিনি জিতেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর ২০১৬ সালে ব্রাজিলের হয়ে জিতেন অলিম্পিকে স্বর্ণ।
২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে ফুটবল ইতিহাসে দলবদলের রেকর্ড ২৩০ মিলিয়ন ডলারে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন। পিএসজির হয়ে নেইমার পাঁচটি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতেন। ২০১৯-২০২০ মৌসুমে পিএসজিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলেন। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। এরপর মেসিও পিএসজিতে যোগ দেন। কিন্তু এরপর নানা কারণে শেষ পর্যন্ত পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সেনসেশান।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আল হ ল ল র জন য ইনজ র প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।