সাদিয়া সুলতানা একাধারে গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। সাধারণের অসাধারণ জীবনচিত্র তুলে ধরতে পারদর্শী এই কথাশিল্পী। বাংলা একাডেমি পরিচালিত রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস উঠল্লু প্রকাশ হবে ২০২৫ বইমেলায়। উপন্যাসটি প্রকাশ করছে ঐতিহ্য। উঠল্লু প্রসঙ্গে নানা কথা জানিয়েছেন সাদিয়া সুলতানা। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। 

রাইজিংবিডি: উঠল্লুর মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাই।
সাদিয়া সুলতানা: উঠল্লুর মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলার আগে কেন উঠল্লু লিখেছি সেই বিষয়ে একটু বলা প্রয়োজন মনে করছি। আসলে ছোটবেলা থেকেই বিহারি জনগোষ্ঠী বলে পৃথক কিছু মানুষের কথা শুনে আসছি যারা বাংলাদেশে বসবাস করছে অথচ নামেই যেন বাংলাদেশের মানুষ না। এরপর বড় হতে হতে বিভিন্ন নাটক, বইপত্র, পত্রিকা বা সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি বিহারিদের একটা অংশ আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এর উল্টোদিকে বা নেপথ্যে কোনো গল্প আছে কি না তা জানার জন্য সবসময় ভেতরে ভেতরে এদের নিয়ে কৌতূহল কাজ করেছে। আড়াই বছর আগে আমি যখন আমার উপন্যাস ৭১ লেখার প্রস্তুতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকালীন দিনাজপুরের গণহত্যা ও বীরাঙ্গনাদের নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি তখন বিহারিদের সম্পর্কে অনেক তথ্য আমার হাতে আসে। এরপর সৈয়দপুরের গোলাহাট বধ্যভূমি নিয়ে লেখার জন্য স্বচক্ষে বধ্যভূমি দেখতে গিয়ে ওখানকার ক্যাম্প সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর ৭১ লেখা শেষ করে উঠল্লু উপন্যাস লেখা শুরু করি।

বলা যায়, বাংলাদেশে যুগে যুগে একটা জনগোষ্ঠীকে মোহাজের, অবাঙালি, অস্থানীয়, বিহারি, উদ্বাস্তু, রিফুজি, রিফিউজি, মাউরা, উর্দুভাষী বাংলাদেশী ইত্যাদি নামে পরিচিত হতে হয়েছে তাদের প্রকৃত পরিচয় সন্ধান করতেই উঠল্লু উপন্যাসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপন্যাসটির বিষয়বস্তু বিহারিদের ক্যাম্পজীবনের মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি, এর ভেতরে উঠে এসেছে ধর্ম ঘিরে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বসহ আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের বিভিন্ন দিক। 

রাইজিংবিডি: এই ধরনের কাজ অনেক ‘ফিল্ড ওয়ার্ক’ দরকার হয়, কীভাবে কাজটি সম্পন্ন করলেন?

আমার মনে হয় লেখক তো আর ঈশ্বর কিংবা তর প্রেরিত কোনো মহামানব না যে সে দিব্যদৃষ্টিতে সব দেখতে পাবে। লিখতে হলে লেখককে যেমন পড়তে হবে তেমনভাবে মাঠে নামতে হবে, ধুলামাটি মাখতে হবে পায়ে। চার দেওয়ালের ভেতরে বসে এসির হাওয়া খেতে খেতে সব লেখা তৈরি করা সম্ভব না। যেই জীবন বা সময় আমরা দেখিনি সেসব নিয়ে লিখতে বসলে প্রচুর পড়ালেখা করে বা কল্পনা করে অনেক লেখা নির্মাণ করা যায় বটে কিন্তু তাতে যেন প্রাণটা ঠিকঠাক থাকে না। তাই যখন ক্যাম্পজীবন নিয়ে লিখবো ঠিক করলাম— তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম ক্যাম্পে যেতে হবে। এক্ষেত্রে শুরুতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। শুভাকাঙ্ক্ষীরা আঁতকে উঠে বারবার আমাকে সতর্ক করেছে, ক্যাম্পের পরিবেশ ভালো না, প্রচুর অপরাধী আত্মগোপন করে থাকে ওখানে আর এরা বাঙালিদের সন্দেহের চোখে দেখে। একজন নারী বা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পের ভেতরে আমার ঢোকা ঠিক হবে না ইত্যাদি, ইত্যাদি। এসব শুনে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও দমে যাইনি। এদিকে আমার ঘরের মানুষটি একটি নেতিবাচক শব্দও উচ্চারণ করেনি। বরং ওর পরামর্শে নীলফামারিতে কর্মরত আমার সহকর্মী আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। মুক্তা আমার জন্য এমন একজন মানুষ খুঁজে বের করে যিনি বিহারি ভাষা জানেন এবং ক্যাম্পগুলোতে যার যাতায়াত আছে। ভদ্রলোকের নাম আব্দুল মান্নান। আব্দুল মান্নানের সহযোগিতায় আমার কাজটা সহজ হয়ে যায়। এরপর যেদিনই আমি ক্যাম্পে গিয়েছি সেদিনই ভদ্রলোক আমার সঙ্গে ছিলেন। এমন কি আমার ঘরের মানুষটিও আমার সঙ্গে গেছেন। আমি দিনাজপুর থেকে সৈয়দপুরে চলে যেতাম, যতক্ষণ ক্যাম্পে থাকতাম ততক্ষণ সে আমার সঙ্গে থাকতো। প্রথমে ক্যাম্পবাসীদের কেউ কেউ সন্দেহের দৃষ্টিতে জানতে চাচ্ছিল আমি ভোট চাইতে এসেছি কি না বা সাংবাদিক কি না। পরে তারা আমাকে এত আন্তরিকতভাবে গ্রহণ করেছে যা আমি কখনোই ভুলবো না। কোনো কোনো ঘরে রীতিমতো টানাটানি করে বসিয়ে নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেছে। পথে পথে ভিক্ষা করে বেড়ায় এমন একজন নারী বারবার জড়িয়ে ধরে আদর করছিল, এত খুশি হয়েছিল সে, আমি তাদের জীবন দেখতে এসেছি জানতে পেরে। বাচ্চারা তো ঘিরে ছিল সারাক্ষণ, ওরা আমাকে অনেক ছড়া শুনিয়েছে, ওরা নানারকম শারীরিক কসরৎ দেখিয়েছে। আমি ছবি তুলেছি, ভিডিও করেছি। খুঁটে খুঁটে দেখেছি ওদের জীবন, জীবিকা। এভাবে দেখার সুযোগ না পেলে আমি উঠল্লুর একটা শব্দও হয়তো লিখতে পারতাম না।

রাইজিংবিডি: লেখকের প্রচারণা কৌশল কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
সাদিয়া সুলতানা: আমরা মেধা, সময়, আয়ু খরচ করে যেই সৃজনশীল কাজ করছি তার প্রচার প্রচারণা হওয়া আবশ্যক বৈকি। প্রচার না করলে মানুষের কাছে নিজের কাজটা পৌঁছাবে কী করে? তবে কৌশল শব্দটা নেতিবাচক অনেকক্ষেত্রে। আমি ইতিবাচক প্রচারণায় বিশ্বাসী। আর পাঠকের কাছে লেখা পৌঁছে যাওয়ার জন্য প্রচারণা অবশ্যই প্রয়োজন। আমার মনে হয়, একজন লেখক বছর জুড়ে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে লিখছেন, এটাই তার লেখার মূল প্রচারণা। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে তো নিজের লেখার প্রচার করার অবারিত সুযোগ এখন। যদিও এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে গিয়ে কেউ কেউ অন্যদের উত্যক্ত করেন বলেও শোনা যায়, এটা অশোভন, এমন আচরণ কাম্য নয়। 

রাইজিংবিডি: মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি অডিও, পিডিএফ হওয়ার ট্রেন্ডকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সাদিয়া সুলতানা: মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি অডিও, পিডিএফ বই হওয়াকে আমি ইতিবাচকভাবে দেখি। আমি নিজে চোখের সমস্যার কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে পিডিএফ বই পড়তে না পারলেও হাঁটতে বের হলে বা সংসারের কাজ করার সময় অডিও বুক শুনি। আমার একঘেয়ে কাজকর্ম তখন আর একঘেয়ে থাকে না। মূলত নতুন প্রজন্মের আগ্রহ আর সময়ের প্রয়োজনেই আমাদের এই ট্রেন্ডকে স্বাগত জানাতে হবে।

রাইজিংবিডি: ঐতিহ্য থেকে বইটি প্রকাশ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনি পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছেন নাকি তারা চেয়ে নিয়েছে?—প্রক্রিয়াটা কীভাবে সম্পাদন করেছেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী লেখককে যে রয়ালিটি দেওয়া হয়, এতে কি সন্তুষ্ট?
সাদিয়া সুলতানা: ২০২২ সালে ঐতিহ্য প্রকাশনী পাণ্ডুলিপি আহ্বান করেছিল, তখন আমার গল্প সংকলন ‘উজানজল’ নির্বাচিত হয় ও ঐতিহ্য থেকে বইটি প্রকাশিত হয়। এরপর ঐতিহ্য থেকে কয়েকবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় আমি আইন বিষয়ক বা অন্য কোনো বিশেষ লেখা লিখছি কি না। তখন আমার হাতে যেসব কাজ ছিল তা নিয়ে অন্য প্রকাশনীর সঙ্গে কথা ঠিক হয়ে যায় তাই আমি ঐ সময়ে কোনো পাণ্ডুলিপি দিইনি। এরপর উঠল্লুর কাজ শেষ করার পর সিদ্ধান্ত নিই, এটা ঐতিহ্যকে দিবো। আমি পাণ্ডুলিপি মেইল করলে ওরা জানায় পাণ্ডুলিপিটা ভালো, বইটা ওরা প্রকাশ করবে।

আমার সব প্রকাশক আমার সঙ্গে সমান আচরণ করেননি। কেউ কেউ তো বারবার চুক্তিপত্র পাঠাবেন বলেও পাঠাননি। যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তাদের সঙ্গে পরে আমি কাজ করার উৎসাহ হারিয়েছি, জানিয়েছি তাদের সঙ্গে আর কাজ করবো না। কেউ কেউ আবার চুক্তিপত্র অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক রয়্যালিটি ঠিকঠাক বুঝিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, বইয়ের মুদ্রণ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ামাত্র রয়্যালিটি বুঝে পাবো। সব মিলিয়ে এই জায়গাতে সন্তুষ্টি কাজ করার কোনো কারণ নেই।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপন য স উঠল ল র ক জ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার