যশোরের ঝিকরগাছায় মাথার চুল কেটে ও মুখে কালি মাখিয়ে এক নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) রাতের ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিকরগাছার বনেয়ালি কলাবাগানপাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা। 

আরো পড়ুন:

অনলাইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নারায়ণগঞ্জে ২১ মামলার আসামি সাদ্দাম গ্রেপ্তার

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তার ছেলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি মেয়ের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর মেয়েটি একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুলকে বিয়ে করেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছেলের সাবেক স্ত্রীকে দেখতে যান তিনি। এ সময় সাবেক পুত্রবধূর স্বামী শিমুল হোসেন, চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ ওই বাড়ির লোকজন মিলে ভুক্তভোগীর মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি মাখিয়ে দেন। এ সময় তারা বাঁশের লাঠি দিয়েও তাকে মারধর করেন।

তিনি আরো জানান, শুধু মারধর করেই তারা থেমে থাকেননি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে শিমুলের বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। কোথাও অভিযোগ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার ভয় দেখান অভিযুক্তরা। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

গদখালি ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “শুনেছি, তাবিজ-কবজ (যাদু টোনা) সন্দেহে এক নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।”

ঝিকরগাছা থানার ওসি মো.

বাবলুর রহমান খান বলেন, ‍“ভুক্তভোগী তার ডিভোর্সি পুত্রবধূকে দেখতে তার নতুন স্বামীর বাড়ি যান। মেয়েটির স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে দেন। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী