Samakal:
2025-05-01@12:11:21 GMT

অদম্য মেধাবী শাপলার পাশে আমরা

Published: 3rd, February 2025 GMT

অদম্য মেধাবী শাপলার পাশে আমরা

দারিদ্র্য জয় করে শিশুকালে মা হারানো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের অদম্য মেধাবী শাপলা খাতুন নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাঁকে সংবর্ধিত করেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। ২৮ জানুয়ারি  সকালে সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী কার্যালয়ে শাপলার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং মেডিকেলে ভর্তির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করে তাঁকে সংবর্ধনা দেন সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ সময় ঈশ্বরদীর আরেক কৃতী শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসির সামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় তাঁকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুহৃদরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুহৃদরা শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাঁর পারিবারিক অবস্থার কথা তুলে ধরলে নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ শাপলার হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য সমুদয় অর্থ ও ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাঁর ভর্তি ছাড়াও পড়াকালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁকে সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় শাপলার বাবা শফিকুল ইসলাম ও সামিনের বাবা উপস্থিত ছিলেন। 
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদী সুহৃদ সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু। অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক সমন্বয় করেন সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক ঈশ্বরদীর সম্পাদক সেলিম সরদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি আফছার আলী, আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল, বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, স্বর্ণকলি বিদ্যাসদনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাবু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদসহ ঈশ্বরদীর সুহৃদরা।   
‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার’ শিরোনামে সমকাল অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেখে শাপলার ভর্তির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সুহৃদরা শাপলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে অবহিত করার পর শাপলাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাবা শফিকুল ইসলাম সম্মত হন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে শাপলাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তাঁর ভর্তির বিষয়ে কথা হয়। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, ঈশ্বরদী 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ